২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

৪০ বছরের জরাজীর্ণ ভবনে চলছে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা

৫৭৬টি কেন্দ্রকে সংস্কারে খরচ ১ হাজার ৭১১ কোটি টাকা
-

৪০ বছরের পুরনো, জরাজীর্ণ ও ভঙ্গুর ভবনে চলছে দেশের গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম। সারা দেশে একতলা বিশিষ্ট ৫৭৬টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র নির্মিত হয় আশির দশকের শুরুতে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়াতে এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্র এখন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দেশের দুই কোটিরও বেশি গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠী যথাযথভাবে স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে না। এগুলোকে সংস্কার করে দোতলা ভবনে উন্নীত করার জন্য ১৭১১ কোটি টাকা খরচের একটি প্রকল্প প্রস্তাব করেছে পরিকল্পনা কমিশনের কাছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবনা থেকে জানা গেছে, ৬২টি জেলার ৩১০টি উপজেলার ৫৭৬টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলো জরাজীর্ণ ও ভঙ্গুর। ষাটের দশকে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় শুরু হওয়া এই কার্যক্রম তৃণমূল পর্যায়ের প্রান্তিক ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় মা ও শিশু স্বাস্থ্য, প্রজনন স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি সেবা কার্যক্রম পৌঁছে দেয়ার জন্য পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর কাজ করছে। আশির দশকে নির্মিত এসব ভবন এখন ব্যবহার অনুপযোগী। ফলে জনসাধারণ সেবাপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই এসব সংস্কার করা জরুরি হয়ে পড়েছে। এসব ভবন নির্মাণের জন্য কোনো প্রকার জমি অধিগ্রহণ করার প্রয়োজন হবে না। জমির জন্য সরকারের কোনো আর্থিক সংশ্লেষ নেই।
প্রকল্পের আওতায় কাজগুলো হলোÑ ঢাকা বিভাগে ১৬০টি কেন্দ্র, ময়মনসিংহে ৪০টি, চট্টগ্রামে ১১০টি, সিলেটে ২১টি, রাজশাহীতে ৯৭টি, রংপুরে ৪৬টি, বরিশালে ৩০টি এবং খুলনায় ৮২টি কেন্দ্র। দ্বিতলা বিশিষ্ট ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র নির্মাণ, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, ড্রেন, সীমানা দেয়াল, গেট স্থাপন ও নলকূপ স্থাপন, আসবাবপত্র ক্রয়, অফিস সরঞ্জামাদি কেনা, মোটর যান কেনা ইত্যাদি। এখানে ৩৬ লাখ ২১ হাজার ১১০.৪ বর্গফুট অনাবাসিক ভবন নির্মাণ খরচ ধরা হয়েছে এক হাজার ৫৪৫ কোটি ছয় লাখ টাকা।
প্রকল্পে বেশ কিছু খাতে খরচের ব্যাপারে ব্যাখ্যা চেয়েছে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগ। এর মধ্যে আউটসোর্সিং খাতে জনবলের জন্য ৩৪ লাখ টাকা, কর্মচারীদের বেতন ২৫ লাখ টাকা, কর্মকর্তাদের বেতন ৫৪ লাখ টাকা। এসব খরচের ব্যাপারে অর্থ বিভাগের পদ বা জনবল নির্ধারণ কমিটির সুপারিশ আবশ্যক। ৫৭৬টি কেন্দ্রে আসবাবপত্র কিনতে খরচ ৬৯ কোটি ৪৬ লাখ ৫৬ হাজার টাকা।
পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের আপত্তি হলো, পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের গত ২২ বছর ধরে চলমান সেক্টর কর্মসূচির আওতায় নির্মিত এবং বাস্তবায়নাধীন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের তালিকার সাথে দ্বৈততা পরিহার করতে হবে। পূর্ত নির্মাণধর্মী একটি প্রকল্পের আওতায় নিয়োগ পরীক্ষা ফি পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। এ ছাড়া প্রকল্পে অভ্যন্তরীণ ভ্রমণ খরচ ৩০ লাখ টাকা, বিছানাপত্রে এক কোটি ৬১ লাখ টাকা, সম্মানী ৫০ লাখ টাকা, কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক খরচ চার কোটি ৮৮ লাখ টাকা নিয়ে পর্যালোচনা করতে বলেছে।
করোনা মহামারী মোকাবেলা এবং সরকারের কৃচ্ছতাসাধন নীতির আলোকে অর্থ বিভাগ জারিকৃত পরিপত্রে উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আগামী ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত যানবাহন কেনার কার্যক্রম স্থগিত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারপরও প্রকল্পে গাড়ি কেনার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী প্রধান ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাস্তবায়নাধীন স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচিতে সংস্থানকৃত ১১৩টি পুনর্নির্মাণযোগ্য ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলোর সাথে প্রস্তাবিত ডিপিপিতে সংস্থানকৃত ৫৭৬টি কেন্দ্র যাচাই-বাছাই করে দ্বৈততা পরিহার করা হয়েছে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ৫৭৬টি ইউনিয়নের ৬০ লক্ষাধিক নারী সরাসরি সেবা গ্রহণের সুযোগ পাবে।


আরো সংবাদ



premium cement
তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার অন্যতম দায়ী : মির্জা আব্বাস সৈয়দপুরে জামায়াতের উদ্যোগে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় জিম্বাবুয়ে সিরিজের শুরুতে না থাকার কারণ জানালেন সাকিব ঝালকাঠিতে গ্রাম আদালত কার্যক্রম পরিদর্শনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল চুয়াডাঙ্গায় বাতাসে আগুনের হল্কা : গলে যাচ্ছে সড়কের পিচ বৃষ্টির নামাজ আদায়ের নিয়ম আজও স্বর্ণের দাম ভরিতে ৬৩০ টাকা কমেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৮ এপ্রিল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি, ক্লাস চলবে শনিবারও মিরসরাইয়ে জুস খাইয়ে অজ্ঞান করে লুট, মূল হোতা গ্রেফতার বৃষ্টি কামনায় ঈশ্বরগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর ইসতিসকার নামাজ আদায় কুবিতে আল্টিমেটামের পর ভিসির কার্যালয়ে তালা ঝুলাল শিক্ষক সমিতি

সকল