২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

হজ ও ওমরাহ আইনের কয়েকটি ধারা বাতিল দাবি এজেন্সি মালিকদের

-

প্রস্তাবিত হজ ও ওমরাহ আইন-২০২০-এর কয়েকটি ধারা বাতিলের দাবি জানিয়েছে এজেন্সিগুলো। গতকাল রোববার রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে হজ ও ওমরাহ এজেন্টদের এক মতবিনিময় সভা থেকে এ দাবি জানানো হয়। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সাবেক সভাপতি আব্দুস সোবহান ভূঁইয়া হাসানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তৃতা করেনÑ হজযাত্রী ও হাজী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ড. আব্দুল্লাহ আল নাসের, আটাবের সাবেক মহাসচিব আসলাম খান, হাবের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম, রুহুল আমিন মিন্টু, আটাবের সাবেক মহাসচিব আব্দুস সালাম আরেফ প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, হজ ও ওমরাহ আইন-২০২০-এর কয়েকটি ধারা অগণতান্ত্রিক। আইনের ১৫ ধারার প্রশাসনিক ব্যবস্থা উপধারার ১. নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ ধারা ১৪ বর্ণিত কোনো অনিয়ম ও অসদাচরণের জন্য উপযুক্ত তদন্ত ও শুনানির সুযোগ প্রদান করে কোনো হজ বা ওমরাহ এজেন্সির বিরুদ্ধে নিম্নবর্ণিত যেকোনো প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে, যথা : (ক) নিবন্ধন বাতিল; (খ) হজ এজেন্সির ক্ষেত্রে হজ এজেন্সির স্বত্বাধিকারীকে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা এবং ওমরা এজেন্সির ক্ষেত্রে এজেন্সির স্বত্বাধিকারীক সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা জরিমানা। ১৬ ধারায় জরিমানার অর্থ আদায়ের ক্ষেত্রে বলা হয়েছেÑ ১. কোনো হজ বা ওমরাহ এজেন্সির ওপর আরোপিত জরিমানার অর্থ নগদ অর্থে আদায়যোগ্য হবে, তবে অনুরূপভাবে আদায় করা সম্ভব না হলে জামানত থেকে অর্থ কেটে নেয়া যাবে। ২. উপধারায় বলা হয়েছেÑ ১ উপধারার অধীনে জরিমানার সম্পূর্ণ অর্থ আদায় করা সম্ভব না হলে চঁনষরপ উবসধহফং জবপড়াবৎু অপঃ ১৯১৩-এর অধীনে সরকারি পাওনা হিসেবে জরিমানার অর্থ আদায়যোগ্য হবে।
বক্তারা আরো বলেন, আইনের ১৭ ধারায় আপিল আবেদন উপধারার (৩) অনুচ্ছেদের বলা হয়েছেÑ কোনো ব্যক্তি বা এজেন্সির বিরুদ্ধে এ আইন অনুযায়ী, প্রশাসনিক জরিমানা বা শাস্তি আরোপিত হলে উল্লেখিত এজেন্সি এ আইনে বর্ণিত প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শেষ না করে কোনো আদালতের আশ্রয় গ্রহণ করতে পারবে না। ১৮ ধারায় ফৌজদারি ব্যবস্থা গ্রহণ উপধারায় বলা হয়েছেÑ ১. এ আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো হজ বা ওমরাহ এজেন্সির স্বত্বাধিকারী, অংশীদার, পরিচালক বা কর্মরত অন্য কোনো ব্যক্তি সংঘটিত ফৌজদারি অপরাধের দায়ে তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। ২. কোনো হজ বা ওমরাহ এজেন্সির স্বত্বাধিকারী, অংশীদার, পরিচালক বা সেখানে কর্মরত অন্য কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হলে, একই বিষয়ে এ আইনের অধীন প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কোনো বাধা থাকবে না।
বক্তারা আরো বলেন, জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতিমালা বহু বছর ধরে চলে আসছে। এ নীতিমালার মাধ্যমে হজ ও ওমরাহ এজেন্সির স্বত্বাধিকারী, অংশীদার, পরিচালক আদালতের শরণাপন্ন হতে পারতেন। এ ছাড়া দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী, সরকার ত্রুটিপূর্ণ প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এজেন্টরা দেশের প্রচলিত আইনে রিট পিটিশনের মাধ্যমে নাগরিক অধিকার পেতেন; কিন্তু হজ-ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন-২০২০ সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক, নাগরিক অধিকার খর্বকারী আইন। আমরা এ আইন মানি না। আমরা এ আইনের বাতিল চাই।

 


আরো সংবাদ



premium cement
আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে মারামারি, মাঠ ছেড়ে উঠে গেল সাদা-কালোরা কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্য পান, সেভাবেই ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে : কৃষিমন্ত্রী চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সিএনজি ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪ ভান্ডারিয়ায় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে দর্শনার্থীদের ঢল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি চাটমোহরে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বিএনপি সাম্প্রদায়িক শক্তি, এদের রুখতে হবে : ওবায়দুল কাদের সাদিক এগ্রোর ব্রাহামা জাতের গরু দেখলেন প্রধানমন্ত্রী ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ সারা বিশ্ব আজ জুলুমবাজদের নির্যাতনের শিকার : ডা. শফিকুর রহমান মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সকল