রাজপথে বাধা দিলে কর্মীরা বিকল্প পথ খুঁজবে : গয়েশ্বর রায়
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৭ মার্চ ২০২১, ০০:০৮
উন্মুক্ত রাজপথে বাধা দিলে কর্মীরা বিকল্প পথ খুঁজবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
সমাবেশ করতে পুলিশি বাধাবিপত্তির প্রসঙ্গ টেনে গতকাল শনিবার দুপুরে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এই মন্তব্য করেন তিনি।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে কারাগারে বন্দী অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যু ও নোয়াখালীর বসুরহাটে ক্ষমতাসীন দলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে স্থানীয় সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মোজাক্কির হত্যার বিচারের দাবিতে এই প্রতিবাদ সমাবেশ হয়।
সমাবেশ উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে মৎস্য ভবন, তোপখানা রোড মোড়সহ বিভিন্ন সড়কে পুলিশ ব্যারিকেড দেয়ার ফলে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে প্রবেশ করতে পারেননি। ফলে কয়েক শ’ নেতাকর্মী নিয়ে সমাবেশ করে স্বেচ্ছাসেবক দল।
সকাল ১০টায় সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়। সমাবেশ চলাকালে দলের কর্মীরা পরস্পরের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এ রকম পরিস্থিতিতে পড়লে পুলিশ এগিয়ে এলে কর্মীদের দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়। পরে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল মাইক নিয়ে কর্মীদের শান্ত করেন।
গয়েশ্বর রায় বলেন, আন্দোলন-সংগ্রামের অনেক পথ আছে। উন্মুক্ত রাজপথে বাধা দিলে বিকল্প পথ খুঁজতে কর্মীরা বাধ্য হবে। সেই বিকল্প পথে যদি কর্মীরা যায় দেশটার কী অবস্থা হবে এটা সকলকে ভাবতে হবে।
তিনি বলেন, নিরাপত্তা শুধু আমাদের প্রয়োজন না, নিরাপত্তা সকলেরই প্রয়োজন। এ দেশের নিরস্ত্র জনগণ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে কাবু করেছে, তাদেরকে পরাজিত করে তাদের দেশের মাটিতে ফেরত পাঠিয়েছে। আন্দোলনের মধ্যে কোনো অস্ত্র বা পোশাকের ভয় দেখিয়ে তাদের সত্য কথা থেকে দূরে সরানো যাবে না।
গয়েশ্বর বলেন, সেই কারণে বলছি, বলতে দিন, প্রতিবাদ করতে দিন, গণতন্ত্রকে ফেরত আসতে দিন। গণতন্ত্র এলে গণতান্ত্রিক সরকারের প্রশাসনে যারা চাকরি করবেন, যারা গর্বিত প্রশাসক হিসেবে নিজেদেরকে মানুষের সামনে হাজির করতে পারবেন।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রবিহীন রাষ্ট্রে স্বৈরতন্ত্রের পারিপার্শ্বিকদের বাঁচানোর জন্য রাষ্ট্রীয় প্রশাসন-পুলিশ প্রশাসন যদি জনগণের ওপরে লাঠিচার্জ করে তখন জনগণ বাধ্য হবে লাঠি তুলে নিতে, প্রতিবাদ করতে। কারণ জনগণের দেশ, জনগণ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে।
বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে একটি প্রতিনিধিদলের সাথে পুলিশ প্রধানের সাক্ষাতের কথা উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, পুলিশ শুধু আওয়ামী লীগের জন্য নয়- এই কথাটা যেন তারা খেয়াল রাখেন। আর যদি মনে করেন মিটিং-মিছিল করতে দেবেন না। তাহলে সরকারকে বলুন, আইন করে সব কিছু বন্ধ করে দিতে।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলের পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের দলের গোলাম সারোয়ার, আনু মো: শামীম, নেসারউদ্দিন, এ টি এম আবুল কালাম আজাদ, জামাল হোসেন তালুকদার, আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল, রফিক হাওলাদার, ইয়াসীন আলী প্রমুখ নেতা বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপুসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা