১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কর আওতার বাইরে রয়ে গেছে বহু মানুষ : ব্যারিস্টার তাপস

-

প্রকল্প নির্ভরতা কমিয়ে রাজস্ব আয় বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, আমরা আগে অনেক কিছুই করতে পারিনি। অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যে ছিলাম কারণ আমরা রাজস্ব সংগ্রহ করতে পারিনি। আমাদেরকে সরকারের মুখাপেক্ষী হতে হয়েছে। প্রকল্প নির্ভর হয়ে চলতে হয়েছে। আমরা প্রকল্প জমা দিই, তারপর সরকার আমাদের অর্থ দেয় এবং তারপর অর্থ ছাড় দেয়া হয়। তারপর আমরা কাজ করি। এ প্রকল্প নির্ভরতা আমাদের কমাতে হবে। নিজস্ব সক্ষমতা বাড়াতে হবে, স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে। এ জন্য আমাদের অবশ্যই রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি করতে হবে। অনেকে করের আওতার বাইরে রয়ে গেছে। তাদের এ আওতার মধ্যে আনতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটরিয়ামে সিটি করপোরেশনের রাজস্ব বিভাগের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে আয়োজিত ‘রাজস্ব সম্মেলনে’ মেয়র এ কথা বলেন। ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আমাদের ট্রেড লাইসেন্সের সংখ্যা মাত্র দুই লাখ ১৮ হাজার। এটা পর্যাপ্ত নয়, অপ্রতুল। এর বাইরে ব্যাপক সংখ্যক মানুষ আমাদের শহরে ব্যবসায় করছে কিন্তু আমাদের করের আওতায় আসেনি। তাদের করের আওতায় আনতে হবে। তেমনি পৌর করের (হোল্ডিং ট্যাক্স) সংখ্যা মাত্র এক লাখ ৮৩ হাজার। এ সংখ্যাটা অনেক পূর্বের মনে হচ্ছে। এ সংখ্যাটা অনেক বাড়বে। হোল্ডিং ট্যাক্সের জন্য সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা এবং ট্রেড লাইসেন্সের জন্য ২০০ কোটি টাকার যে লক্ষ্যমাত্রা আমরা দিয়েছি, সেটি আদায়যোগ্য। আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সুষ্ঠুভাবে যদি কাজ করি তবে সেটি শতভাগ আদায় করা সম্ভব।
ব্যারিস্টার শেখ তাপস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেন, আমি দুষ্টের দমন, শিষ্টের লালনে বিশ্বাস করি। যে ভালো করবে, যে সংস্থাকে আপন মনে করে কাজ করবে, তাকে অবশ্যই পুরস্কৃত করা হবে। তাকে প্রণোদনা দেয়া হবে। কিন্তু যে অন্যায় করবে, মানুষকে হয়রানি করবে, তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ডিএসসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হকের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী ও সচিব আকরামুজ্জামান বক্তব্য রাখেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement

সকল