২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ক্লাসে ফেরার প্রস্তুতি শুরু

স্কুল-কলেজ খোলার ঘোষণায় স্বস্তি
-

এক বছরেরও বেশি সময় পর স্কুল-কলেজ খুলছে। সরকারের পক্ষ থেকে আগামী ৩০ মার্চ স্কুল-কলেজ খোলার ঘোষণা দেয়ার পর এখন শুরু হয়েছে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার প্রস্তুতি। অন্য দিকে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের মাঝেও কিছু বিষয়ে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবেলায় স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী কেনার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে ইতোমধ্যে নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। সর্বশেষ গতকাল রোববার স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী স্কুল-কলেজ খোলার আগেই শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করোনার টিকা নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
এ দিকে স্কুল-কলেজ খোলার ঘোষণায় শিক্ষার্থীদের শ্রেণী-বিভাজন করে ক্লাসের একটি খসড়া রুটিনও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি। সেখানে বলা হয়েছে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্কুল-কলেজ খুললে পঞ্চম, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীতে সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন ক্লাস নেয়া হবে। বাকিদের সপ্তাহে একদিন ক্লাসে আসতে হবে। শিক্ষামন্ত্রী আরো জানান, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ৩০ মার্চ খুলে দেয়া হবে। তবে আমাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে প্রথমেই প্রাথমিকের পঞ্চম শ্রেণীকে প্রতিদিন হয়তো স্কুলে আনা হবে। এ ছাড়া গুরুত্ব বিবেচনায় দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীকেও প্রতিদিন ক্লাসে আনব। বাকি ক্লাসগুলোর শিক্ষার্থীরা হয়তো প্রথমে সপ্তাহে একদিন আসবে। কয়েক দিন পর থেকে তারা সপ্তাহে দু’দিন আসবে। পর্যায়ক্রমে আমরা স্বাভাবিকের দিকে নিয়ে যাব, ইনশাআল্লাহ।
স্কুল-কলেজ খোলার ঘোষণা দেয়ার পর গতকাল রোববার থেকেই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা শুরু হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য প্রস্তুতির পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার আগেই আশা করা হচ্ছে শিক্ষক ও কর্মচারীদের করোনা টিকা দেয়ার বিষয়টিও সমাপ্ত করা হবে। ইতোমধ্যে শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে স্কুল-কলেজ খোলার আগে কোথাও কোথাও যদি কোনো প্রতিষ্ঠানের মেরামত ও সংস্কারের দরকার হয় তাহলে সেগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হবে। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রে বলা হয়েছে আগামী ১৭ মে হলগুলো খুলে দেয়া হবে, এর আগেই সংস্কার-মেরামত কাজ করা হবে। আর প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর, পিডব্লিউডিÑ এদের সবার মাধ্যমে মেরামতের কাজগুলো সম্পন্ন করা হবে।
গতকাল রাজধানীর কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেল, শিক্ষার্থীদের মধ্যেও স্কুল খোলার সংবাদটি একটি আনন্দের খবর। এক বছর ধরেই তারা ঘরে বন্দী। স্কুলের প্রিয় আঙ্গিনায় তারা আবার ফিরতে পারবে এই খবরে তারা উদ্বেলিত, উচ্ছ্বসিত। প্রিয় বন্ধুদের সাথে তারা আবার খেলতে পাবরে চলতে পারবে এমন একটি সংবাদের প্রতীক্ষায় যেন ছিল শিক্ষার্র্থীরা।
অন্য দিকে স্কুল খোলার খবরে অভিভাবকদের মধ্যেও স্বস্তি ফিরেছে। করোনার দীর্ঘ এই ছুটিতে তারা তাদের সন্তানদের লেখাপড়া নিয়ে টেনশনেই ছিলেন। শুধু পড়াশোনাই নয়, সন্তানদের মানসিক বিকাশের নানা প্রতিবন্ধকতাও তারা মোকাবেলা করেছেন। তবে স্কুল খোলার পর অভিভাবকেদের একটিই দাবি স্কুলে যেন সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি পালন করা হয়। বিশেষ করে শিক্ষার্র্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্কুল কর্তৃপক্ষ যেন আন্তরিকতার সাথে এই বিষয়গুলো তদারকি করেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement