২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

৮ লাখ বর্গফুট ঘিরে সাজছে বইমেলা

-

গ্রন্থমেলা ঘিরে সাজ নিচ্ছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ। হাতুড়ি পেরেকের ঠকঠক শব্দে আট লাখ বর্গফুট ঘিরে চলছে বইমেলার সাজের কর্মকাণ্ড। গতকাল দুই প্রাঙ্গণ ঘুরে গ্রন্থমেলার এমন আগমনী বার্তা চোখে পড়ে। নির্মাণশ্রমিকদের নানামুখী কর্মব্যস্ততায় চারি দিকে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। স্টল নির্মাণে ব্যস্ত শ্রমিকরা জানালেন এভাবেই এখন কর্মব্যস্ততায় কাটছে তাদের রাত-দিন । মেলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পূর্বনির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী আগামী ১৮ মার্চ থেকে মেলা শুরু হবে। শেষ হবে ১৪ এপ্রিল। ইতোমধ্যে মেলার স্টল বরাদ্দ চূড়ান্ত হয়েছে। প্রকাশক ছাড়াও অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে রয়েছে প্রকাশনা সংস্থা, সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান।
এবারে মেলায় স্টল ভাড়া অর্ধেক করে দেয়া হয়েছে। আগের বার ইউনিট-প্রতি ভাড়া ১৩ হাজার ২০০ টাকা রাখা হলেও এবার রাখা হবে ছয় হাজার ৬০০ টাকা। তবে ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ মোট ভাড়া দিতে হবে সাত হাজার ৫৯০ টাকা। প্যাভিলিয়নের ভাড়াও অর্ধেক কমানো হয়েছে।
গ্রন্থমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ গতকাল নয়া দিগন্তকে জানান, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে বইমেলার স্টল ভাড়া অর্ধেক করে দেয়া হয়েছে। বাকি অর্ধেক টাকা সরকার বাংলা একাডেমিকে পরিশোধ করে দেবে। তার মতে, মেলায় আগতদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্বাস্থ্যবিধি থাকবে। আগতরা সবাই তা মেনে মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন। এবারে মেলা গতবারের চেয়ে বেশি জায়গা নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত বছর তা সাত লাখ বর্গফুট জায়গার মধ্যে হলেও এবার তা হচ্ছে আটলাখ বর্গফুট জায়গা নিয়ে। এর মধ্যে ৫ শ’ প্রতিষ্ঠান ও ৯ শ’ ইউনিট অংশ নেবে। গেট থাকবে ছয়টি। এর মধ্যে তিনটি প্রবেশের এবং তিনটি বের হওয়ার জন্য।
তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে প্রতি ফেব্রুয়ারিতে প্রাণের এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। কিন্তু চলমান করোনা মহামারীর কারণে এবার ফেব্রুয়ারিতে গ্রন্থমেলা অনুষ্ঠিত না হয়ে মার্চে অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই প্রথম চলমান দীর্ঘ প্রথা ভঙ্গ হলো।
বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতি বছরের মতো এবারো মানুষের এ প্রাণের মেলা যথাসময়ে অনুষ্ঠানে বাংলা তারা যথেষ্ট আন্তরিক ছিলেন। কিন্তু নভেম্বর থেকে করোনা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে থাকায় মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়টা তারা পর্যবেক্ষণ করেছেন। এখন যেহেতু প্রকোপ কিছুটা কমে আসছে তাই এক মাস পিছিয়ে হলেও মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ও সময় প্রকাশনের স্বত্বাধিকারী ফরিদ আহমেদ বলেন, মেলার জন্য সময়টা উপযুক্ত না হলেও পরিস্থিতি বিবেচনায় তারা তা মেনে নিয়েই মেলা করছেন। তবে মেলার প্রস্তুতিতে আয়োজকরা যেন আবহাওয়াগত বিষয়টি মাথায় রাখেন।
এর আগে মহামারী বিবেচনায় বইমেলার আয়োজন স্থগিত রাখতে গত বছরের ডিসেম্বরে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ। পরে ভার্চুয়ালি বইমেলা করার প্রস্তাব এলেও বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি তাতে আপত্তি তুলে প্রতি বছরের ন্যায় বইমেলার দাবি জানায়। দুই পক্ষের সাথে আলোচনা করে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ গত ১৭ জানুয়ারি জানান, দেরিতে হলেও বইমেলা হবে আগের মতোই।
এরপর ২০ ফেব্রুয়ারি, ৭ মার্চ অথবা ১৭ মার্চ এই তিন তারিখের যেকোনো দিন থেকে বইমেলা শুরু করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এ বিষয়ে একটি চিঠি সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর বাংলা একাডেমি ও বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি ১৮ মার্চ মেলা শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়।


আরো সংবাদ



premium cement
রাজশাহীতে টানা তাপদাহ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা শরীয়তপুরে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ জামায়াতের এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী নয় : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী নজিরবিহীন দুর্নীতির মহারাজার আত্মকথা ফতুল্লায় ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে নির্মাণকাজ বন্ধ, মারধরে আহত ২, মামলা পার্বত্যাঞ্চলে সেনাবাহিনী: সাম্প্রতিক ভাবনা গফরগাঁওয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে টিকটক করতে গিয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু তানজানিয়ায় বন্যায় ১৫৫ জনের মৃত্যু বাংলাদেশসহ এশিয়ার ৩ দেশে কাতার আমিরের সফরে কী লাভ ও উদ্দেশ্য? মধুখালীর ঘটনায় সঠিক তদন্ত দাবি হেফাজতের ফর্মে ফিরলেন শান্ত

সকল