টঙ্গীতে মসজিদের রাস্তা বন্ধ করে বাউন্ডারি নির্মাণে এলাকায় উত্তেজনা
- গাজীপুর মহানগর সংবাদদাতা
- ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০১:৫০
টঙ্গীতে মসজিদের রাস্তা বন্ধ করে বাউন্ডারি নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকার মুসল্লিদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানান, টঙ্গীর আউচপাড়া মৌজায় ‘মরাপুকুর’ নামে খ্যাত পুকুরপাড়ে প্রায় ৫০ বছর আগে একটি হিন্দু পরিবারের পারিবারিক শ্মশান ছিল। ওই জমির এসএ রেকর্ডীয় মালিক বীরেন্দ্রকুমার মিত্র ও অমূল্যকুমার মিত্র বিগত ১৯৭৫ সালে ওই পুকুরসহ তাদের সমস্ত জমি এলাকার মুসলমানদের কাছে বিক্রি করে অন্যত্র চলে যান। এ অবস্থায় বিগত প্রায় ২০ বছর আগে পুকুরের পূর্বপাশে ভিন্ন একটি দাগে স্থানীয়দের ক্রয়কৃত জায়গায় একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে আলহেরা নামের ওই মসজিদ সম্প্রসারণের কাজ চলছে। সম্প্রতি উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েকজন হিন্দু এসে মসজিদের পশ্চিম পাশের ওই পুকুর ও পুকুরপাড়ের জমিকে ‘মহাশ্মশান’ দাবি করে দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে।
ইতোমধ্যে তারা পুকুরের দক্ষিণপাশে মসজিদে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে বাউন্ডারি নির্মাণের উদ্যোগ নিলে এলাকার মুসল্লিদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এমনকি স্থানীয়দের বাধা উপেক্ষা করে পুকুরের উত্তরপাশে সিটি করপোরেশনের ২০ ফিট রাস্তার প্রায় অর্ধেক দখল করে সেখানেও বাউন্ডারি নির্মাণ করা হয়েছে।
মসজিদের মুসল্লি আব্দুল বারেক বলেন, একটি মহল ব্যক্তি স্বার্থে জমি দখলের জন্য সাম্প্রদায়িক ইস্যুকে কাজে লাগাচ্ছে। ইতোমধ্যে মসজিদের পাশে টিনের বেড়া দিয়ে অস্থায়ী মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে এবং পুকুরের দক্ষিণ পাশে মসজিদে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে বাউন্ডারি নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে এলাকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের তীব্র আশঙ্কা রয়েছে।
এ ব্যাপারে টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি মো: শাহ আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। দুই পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে থানায় একাধিকবার অভিযোগ দিয়েছে। কিন্তু জমিসংক্রান্ত বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা ছাড়া আমার কিছু করার নেই। তবে আমি উভয়পক্ষকে এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার অনুরোধ করেছি।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে টঙ্গীর বড় দেওড়ার প্রেমাচন্দ্র সরকার বলেন, বীরেন্দ্রকুমার মিত্ররা বিগত ১৯৭৫ সালে ওই জমি বিক্রি করেছে বলে আমাদের জানা নেই। জমির রেকর্ডে ‘শ্মশান’ উল্লেখ আছে। আমরা সেখানে বাউন্ডারি নির্মাণ করতে গেলে আশপাশের জমির মালিকরা মালিকানা দাবিতে বাধা দিয়ে আসছেন। আমরা সীমানা নির্ধারণের জন্য তাদের সাথে বসতে চাইলে তারা বসতেও রাজি হচ্ছেন না। বরং রাতের অন্ধকারে আমাদের বাউন্ডারি ভেঙ্গে দিচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা