সৈয়দপুরে সন্তান হত্যাকারী বাবা গ্রেফতার
হত্যার পর আত্মহত্যার নাটক- সৈয়দপুর (নীলফামারী) সংবাদদাতা
- ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০১:৪৯
কার্টুন দেখতে মোবাইল চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে আট বছরের সন্তানকে হত্যা করেছিল জন্মদাতা বাবা। ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহ করেছিল খুনি এই বাবা। দীর্ঘ ১০ মাস পরে আগের এই ঘটনায় মাত্র ১১ দিনের তদন্ত শেষে রংপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এর হাতে গ্রেফতার হলো বাবা নুর মোহাম্মদ। গ্রেফতারের পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন তিনি। গতকাল শনিবার রংপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সূত্র মতে নীলফামারীর সৈয়দপুরের রসুলপুর রেল কোয়ার্টারে পাঁচ-ছয় বছর থেকে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন নুর মোহাম্মদ। গত বছরের ৩ এপ্রিল শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে স্ত্রী এবং দুই সন্তান নূপুর (৮) ও আবু সোহানসহ (৭) বাড়িতে টিভি দেখছিলেন তিনি। দুই সন্তানের বচসায় একপর্যায়ে বড় মেয়ে নূপুর কার্টুন দেখতে বাবার এন্ড্রয়েড মোবাইলটি বারবার চাইলে তা না দেয়ায় বাবাকে গালি দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নিজের মেয়ের গলা চেপে ধরে নুর মোহাম্মদ। একপর্যায়ে নূপুর মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ে। ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহের জন্য আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার জন্য লেহেঙ্গার ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে কাপড় শুকানোর রশিতে নূপুরের লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল।
এ ঘটনায় ওই দিন সৈয়দপুর থানা পুলিশ অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে এবং লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়। ঘটনাটি তদন্তের জন্য সম্প্রতি দায়িত্ব দেয়া হয় রংপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)। পিবিআই পুলিশ সুপার জাকির হোসেনের নেতৃত্বে তদন্ত কর্মকর্তা নুরে আলম সিদ্দিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও আলামত সংগ্রহ করেন। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে নুর মোহাম্মদকে। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে নুর মোহাম্মদ তার মেয়ে নূপুরকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে। এরপর তাকে নীলফামারীর সৈয়দপুর আমলি আদালত-২ এর বিজ্ঞ সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদি হাসানের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়। নুর মোহাম্মদ এখন নীলফামারী জেলা কারাগারে।
এ বিষয়ে রংপুর পিবিআই পুলিশ সুপার এ বি এম জাকির হোসেন বলেন, ঘটনার ১০ মাস পর মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হলে মাত্র এগারো দিনের মাথায় আমরা মূল রহস্য উদঘাটনে সক্ষম হই।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা