১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নারায়ণগঞ্জে মশার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কয়েলের কারখানা

-

নারায়ণগঞ্জ শহর ও শহরতলি এলাকায় ব্যাপকভাবে বেড়েছে মশার উপদ্রব। ঘরে ও বাইরে কিংবা কর্মস্থলে কোথাও রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না মশার অত্যাচার থেকে। সম্প্রতি শহরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা এই নিয়ে করছেন ব্যাপক সমালোচনা। শুধু বসতঘর বাড়ি অফিস-আদালত নয় মশার উপদ্রব থেকে চলতি পথেও রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না।
এ দিকে মশার উপদ্রব যেমন বেড়েছে তেমনি বেড়েছে মশানিধনের কয়েল কারখানা। জেলার সাত থানা এলাকায় রয়েছে পাঁচ শতাধিক মশার কয়েল কারখানা। এসব কারখানার বেশির ভাগই অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে। মাঝে মধ্যে চলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। জরিমানা গুনে আবারো চালু হয় কারখানাগুলো। এ দিকে শহরে বৃদ্ধি পাওয়া মশার উপদ্রবের পরও নাসিকের কোনো ব্যবস্থা না থাকার ক্ষোভ রয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
শহরের রিকশাচালক আলমাস মিয়া নয়া দিগন্তকে বলেন, আগে তো রাস্তায় বসলে কিংবা বাসায় মশা কামড়াতো কিন্তু, এখন তো রিকশা চালানো অবস্থায়ও মশা কামড়ায়। মশার জন্য কোথাও একটু শান্তিতে বসতে পারি না। শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলম শেখ জানান, মশার যন্ত্রণায় একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। দিনে কিংবা রাতে মশার জন্য কোথাও বসতে কিংবা শুতে পারছি না। ঘরে-বাইরে মশার ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। দ্রুত এ মশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে সামনে আমাদের বিপদের সম্মুখীন হতে হবে।
জালকুঁড়ি এলাকার বাসিন্দা মাসুদ রানা বলেন, মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। কোথাও এক মিনিট নিরাপদে বসা যাচ্ছে না। ইলেকট্রিক ব্যাট, অ্যারোসল, কয়েল জ্বালিয়েও মশার অত্যাচার থেকে রেহাই পাচ্ছি না।
সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পাইনাদী পূর্বপাড়ার সমাজকর্মী সাইফুল ইসলাম বলেন, মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ। দীর্ঘদিন সিটি করপোরেশনের মশানিধন কার্যক্রম এলাকায় না থাকায় মশা এতটাই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে যে, ঘরোয়াভাবে মশা নিধন করা যাচ্ছে না। সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার এলাকার বাসিন্দা শামীম আহমেদ জানান, মশার উপদ্রব বেশি। দুপুরের পর থেকে ঘরে মশার কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হচ্ছে। তাতেও ঠিকমতো মশা যাচ্ছে না। আগে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নিয়মিত মশার ওষুধ ছিটানো হতো। কিন্তু কয়েক মাস ধরে এ কার্যক্রম লক্ষ করা যাচ্ছে না।
এ দিকে নারায়ণগঞ্জের আবাসিক এলাকায় অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ নিয়ে অনুমোদনহীন কয়েক শ কয়েল তৈরির কারখানার মালিক ব্যবসা পরিচালনা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছেন কোটি কোটি টাকা। অপর দিকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই এলাকাগুলোতে বসবাস করছেন কয়েক লাখ মানুষ। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এসব অবৈধ কয়েল তৈরি কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন করলেও স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় গ্যাসলাইন ফের সংযোগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। এসব কয়েল কারখানার আশপাশের বাসিন্দারা শ্বাসকষ্টসহ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, তিতাস গ্যাস অভিযান পরিচালনা করে জেল জরিমানা করে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে যাওয়ার সপ্তাহখানেক পরে আবার তারা গ্যাস সংযোগ দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী ওমর ফারুক জানান, প্রতি মাসে দুইবার নাসিকের পক্ষ থেকে চারজন করে লোক এসে ফগার মেশিন দিয়ে ধোঁয়া দেয়। এ ছাড়াও নাসিকের পক্ষ থেকে প্রতিদিন পাঁচজন করে লোক দিয়ে ওষুধ ছিটানো হয়।
নাসিকের ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরিফুল হক হাসান বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে একটি ফগার মেশিন ক্রয় করেছি। নিজস্ব লোক দিয়ে প্রতিদিন ৪ নং ওয়ার্ডের এলাকায় এলাকায় গিয়ে ফগার মেশিনে ধোঁয়া দেয়া হচ্ছে। সিটি করপোরেশনের কাছে নগরবাসীর দাবি, অতি দ্রুত মশানিধনে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার। প্রতিটি ওয়ার্ডে ফগার মেশিন দিয়ে মশা নিধন করা এবং ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল আমিন বলেন, মশানিধনের ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখছে নাসিক। মশার উপদ্রব কমাতে খুব শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
ফরিদপুরের গণপিটুনিতে নিহত ২ নির্মাণশ্রমিক জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনি সদস্যপদ লাভের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান

সকল