৭৩ বছরে পা রাখলেন মির্জা ফখরুল
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৭ জানুয়ারি ২০২১, ০০:১৯
৭৩ বছরে পা রাখলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল ২৬ জানুয়ারি জন্মদিনের প্রথম ভোরে প্রবাসী কন্যা মির্জা সামারুহ ও ঢাকায় ছোট মেয়ে মির্জা সাফারুহর শুভেচ্ছায় ঘুম ভাঙে মির্জা ফখরুলের। ১৯৪৮ সালের এই দিনে তার জন্ম হয় ঠাকুরগাঁওয়ে।
জন্মদিনের কোনো অনুষ্ঠান ছিল না। বন্ধুবান্ধব, নেতৃবৃন্দের অনেকে টেলিফোন করে বিএনপি মহাসচিবকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। কয়েকজন বিদেশীতৃন্ধুও জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাকে।
সকালে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘৭৩ বছরে পা রাখলাম। জন্মদিন মানে আরো একটি বছর চলে গেছে, বৃদ্ধ থেকে বৃদ্ধের পথে। বড় মেয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে টেলিফোন করেছে, হ্যাপি বার্থ ডে বলল। ছোট মেয়ে ঢাকায় থাকে। সেও ভোরে বাবার ঘুম ভাঙিয়েছে, উইশ করেছে।’
দুই কন্যা নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রাহাত আরা বেগমের সংসার। ভাড়াবাসায় তারা উত্তরা থাকেন।
বড় মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মির্জা শামারুহ অস্ট্র্রেলিয়ায় স্বামী-সন্তানকে নিয়ে আছেন। সেখানে সিডনির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি পোস্ট ডক্টরিয়াল ফেলোশিপ নেন।
ছোট মেয়ে মির্জা সাফারুহ ঢাকার ধানমন্ডির ‘স্যানি ডেল’ স্কুলে শিক্ষকতা করেন।
মির্জা ফখরুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে শিক্ষাগতা পেশায় যোগ দেন। তিনি ঢাকা কলেজে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরাসরি অংশগ্রহণ করেন।
১৯৮৬ সালে সরকারি চাকরি ছেড়ে সক্রিয় রাজনীতিতে আসেন তিনি।
১৯৮৮ সালে মির্জা ফখরুল ঠাকুরগাঁও পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৯২ সালে তিনি ঠাকুগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি এবং কৃষক দলের প্রথমে সহসভাপতি এবং পরে সভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন দীর্ঘ দিন। তিনি বিএনপি থেকে দুইবার সংসদ সদস্য এবং প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সরকারের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন।
দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য থেকে শুরু করে মির্জা ফখরুল সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এবং খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুর পর ২০১১ সালে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এবং ২০১৬ সালে ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ মহাসচিব নির্বাচিত হন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা