১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

৬ দফা দাবিতে কুষ্টিয়া বিড়িশ্রমিকদের সমাবেশ

-

কুষ্টিয়ায় ছয় দফা দাবিতে সমাবেশ করেছে জেলা বিড়ি শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ। সোমবার কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরি মাঠের সমাবেশ থেকে বিড়ির ওপর অতিরিক্ত চার টাকা মূল্যস্তর প্রত্যাহার, বিড়িতে অগ্রিম ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহার, সিগারেটের ন্যায় বিড়িতেও তিনটি মূল্যস্তর করণ, বিড়িশ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধিসহ ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন।
সমাবেশে কুষ্টিয়া জেলা শ্রমিক লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মো: গোলাম মোস্তফা, শ্রমিক লীগের সভাপতি মো: আনারুল হক, বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, যুগ্ম-সম্পাদক মো: হারিক হোসেন বক্তব্য রাখেন। সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মো: নাজিম উদ্দিন।
সমাবেশে গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘অসহায় বিড়ি শ্রমিকরা দু’বেলা পেট ভরে খেতে পারে না। কাজ না পেয়ে মজুরির অভাবে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করে। সারা জীবন কাজ করেও বিড়িশ্রমিকদের ভাগ্য পরিবর্তন হয় না। বিড়িশ্রমিকদের ন্যায্য পারিশ্রমিক দেয়ার জন্য বিড়ি মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।’
তিনি আরো বলেন, ‘অনলাইনে বিড়ি তৈরির লাইসেন্স দেয়ায় নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত বিড়িতে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। এভাবে অবাধে বিড়ি তৈরির লাইসেন্স দিয়ে কাস্টমস কর্মকর্তারা বিনা ট্যাক্সে বিড়ি বিক্রির সুযোগ করে দিচ্ছে। জেলা প্রশাসককে এ বিষয়ে দৃষ্টি দেয়ার আহ্বান জানান তিনি। কুষ্টিয়া জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মো: আনারুল হক বলেন, বিড়ির শ্রমিকদের ন্যায্য দাবির সাথে আমরা একমত।
বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, ‘বিড়ির ওপর মাত্রাতিরিক্ত কর বৃদ্ধির কারণে বিড়ির বাজার নকলবাজদের দখলে চলে গেছে। যেখানে প্রতি প্যাকেট বিড়িতে সরকারকে ট্যাক্স দিতে হয় প্রায় ১০ টাকা সেখানে নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত বিড়ি বিক্রি হচ্ছে মাত্র সাত/ আট টাকায়। এতে এক দিকে বৈধ বিড়ি কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, অন্য দিকে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিজ্ঞপ্তি।


আরো সংবাদ



premium cement