২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গোল্ডেন মনিরের মাদক মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ১৭ ফেব্রুয়ারি

-

র্যাবের হাতে গ্রেফতার রাজধানীর বহুল আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় দায়ের করা মাদক মামলার তদন্ত প্রতিবেদন নির্দিষ্ট সময়ে দাখিল করতে পারেননি তদন্ত কর্মকর্তা। এ কারণে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল মালেক মিয়া প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এজন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৭ ফেব্রুয়ারি তারিখ ঠিক করেন।
গত ২০ নভেম্বর রাজধানীর বাড্ডায় নিজ বাসা থেকে গোল্ডেন মনিরকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরদিন দুপুর পর্যন্ত টানা আট ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে ওই বাসা থেকে ৬০০ ভরি সোনার গয়না, বিদেশী পিস্তল-গুলি, মদ, ১০টি দেশের বিপুল পরিমাণ মুদ্রা ও ১ কোটি ৯ লাখ টাকা জব্দ করা হয়।
র্যাব জানায়, ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় দুই শতাধিক প্লট ও ফ্ল্যাটের মালিক গোল্ডেন মনির। রাজউকের কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে জালিয়াতির মাধ্যমে অসংখ্য প্লট হাতিয়ে নেয় সে। প্রাথমিকভাবে ৩০টি প্লট ও ফ্ল্যাটের কথা স্বীকার করে মনির। জব্দ করা হয় দু’টি বিলাসবহুল গাড়ি। প্রতিটির দাম প্রায় তিন কোটি টাকা।
গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় তিনটি মামলা দায়ের করে র্যাব। অস্ত্র, বিশেষ ক্ষমতা এবং মাদক আইনের পৃথক তিন মামলায় ২৭ দিনের রিমান্ড শেষে গত ১০ ডিসেম্বর কারাগারে পাঠানো হয়। মনির বর্তমানে কারাগারে রয়েছে।
এ দিকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১২ সালে দায়ের করা মামলায় গত ৩ ডিসেম্বর গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অপর একটি অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক।
গোল্ডেন মনিরের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গত ২৩ ডিসেম্বর বুধবার রাজউকের পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর জিজ্ঞাসাবাদ করে গণপূর্তের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার বসুকে।

 


আরো সংবাদ



premium cement