২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে তবে বড় সমস্যা হবে না : মিট প্রেস অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী

-

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সব ধরনের টিকারই কিছু না কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। করোনাভাইরাসের টিকারও কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। তবে এটা বড় কোনো সমস্যা হবে না। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোম্পানির যে টিকাটি ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে আসবে তা আমাদের জন্য উপযোগী। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে গতকাল সোমবার তিনি রিপোর্টারদের টিকা বিষয়ক ব্রিফ করছিলেন। নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নুমানী। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কাদের প্রথমে টিকা দেয়া হবে এর একটি পরিকল্পণা সরকার করেছে। প্রথমেই স্বাস্থ্যসেবা দানকারী ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী টিকা পাবেন। এরপর অন্যদের টিকা দেয়া হবে। একেবারে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত টিকা দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পরে ইউনিয়ন পর্যন্ত তা সম্প্রসারণ করা হবে। সরকারিভাবে আমদানিকৃত টিকা সবাইকে বিনামূল্যে দেয়া হবে। মন্ত্রী বলেন, বেসরকারিভাবে টিকা আনা ও তাদের তত্ত্বাবধানে দেয়ার অনুমোদন দেয়া হবে নীতিমালা অনুযায়ী এবং টিকার দামও নির্ধারণ করে দেয়া হবে। মন্ত্রী বলেন, ভারত কিছু টিকা বাংলাদেশকে উপহার দেবে, তবে উপহারের ওই টিকাগুলো কোনো ব্র্যান্ডের হবে তা জানি না।
উল্লেখ্য, সেরাম ইনস্টিটিউটের টিকা ছাড়াও ভারত বায়োটেক নামে ভারতের নিজস্ব একটি কোম্পানি করোনাভাইরাসের টিকা তৈরি করেছে এবং ভারত সরকার সে টিকা জনগণের মধ্যে প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে। সেরামের টিকার মূল কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা সবগুলো ট্রায়াল করলেও বায়োটেকের টিকার তৃতীয় দফার ট্রায়াল শেষ না করেই তা ব্যবহারের অনুমোদন করেছে ভারত সরকার। এটা নিয়ে ভারতের বিরোধী দলগুলো প্রতিবাদ জানিয়েছে। ভারত বায়োটেকের টিকার ব্যাপারে বাংলাদেশের ওয়াকিফহাল মহলের উদ্বেগ রয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে কী পরিমাণ টিকা দেবে তাও এখন বলা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ ভারত সরকার এ বিষয়ে কিছু বলেনি। বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেক যে টিকা তৈরির চেষ্টা করছে এ ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গ্লোব বায়োটেক সহায়তা চাইলে সরকার তাদের সব ধরনের সহায়তা করবে।
প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ চার ডলারে টিকা কিনবে। তবে বেক্সিমকোকে টিকা পরিবহন, শুল্ক ও অন্যান্য খরচ বাবদ প্রতি ডোজে এক ডলার করে দেয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, ভারত সরকার যে দামে টিকা কিনবে বলে কথা ছিল বাংলাদেশকেও সে দামে টিকা দেবে তারা। বাংলাদেশ যে দামে টিকা কিনছে ভারত সরকার তার চেয়ে বেশি দামে ওই একই টিকা কিনলে বাংলাদেশকে অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে না এমনই কথা রয়েছে। মন্ত্রী বলেন, এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে চার লাখ টিকা দেবে। এই টিকা সংরক্ষণ করতে মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার ফ্রিজারের প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশের কাছে কিছু এ ধরনের ফ্রিজার আছে যেগুলো গবেষণার কাজে ব্যবহার করা হয়। সেগুলো এখন টিকা সংরক্ষণের কাজে ব্যবহার করা হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশে মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার আরো কিছু ফ্রিজার আমদানি করবে।
মন্ত্রী বলেন, সব টিকাই হাসপাতালে গিয়ে দিতে হবে। সেখানে টিকা পরবর্তী কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে চিকিৎসক ও ওষুধ এমনকি জরুরি ভিত্তিতে অন্যান্য সেবা দেয়ার ব্যবস্থাও থাকবে। সে কারণে হাসপাতালের বাইরে কোথাও দেয়া হবে না। যারা টিকা দেবেন তাদের জন্য পিপিই, সেনিটাইজার ও অন্যান্য কিছুর ব্যবস্থা করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement