২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সদরঘাটে লঞ্চে নৌ পুলিশের নামে চাঁদাবাজি

-

রাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চে হকার থেকে নৌ পুলিশের নামে চাঁদা তোলা হচ্ছে। সুমন ও সেলিম নামে দু’জন হকার এ চাঁদা তুলছে বলে একাধিক হকার জানায়।
সূত্র জানায়, ঢাকা সদরঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়ার আগ মুহূর্ত টার্মিনালে থাকা লঞ্চগুলোতে প্রায় আড়াই শতাধিক হকার ব্যাপক উৎপাত চালায়। তারা যাত্রীদের কাছে বিভিন্ন ধরনের ফল ছাড়াও তরল খাবার বিক্রি করে। তাছাড়া অনেকে আবার লঞ্চের সামনে ঝুড়িতে নানান ফল সাজিয়ে বসে থাকছে। এতে লঞ্চ যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। কোনো যাত্রী প্রতিবাদ করলে হকাররা নাজেহাল করে থাকে। মাহবুব নামে এক সৌদি প্রবাসী এ প্রতিবেদককে বলেন, তিনি সদরঘাটে হকারদের কাছে নাজেহাল হয়েছেন। সুন্দরবন লঞ্চে উঠতে সামনে ফলের ঝুড়ি নিয়ে বসা চার থেকে পাঁচজন হকার। কুলি লাগেজ ও ব্যাগ রাখার জায়গা না পেয়ে হকারকে দায়ী করে। তখন এক হকার কুলিকে মারতে তেড়ে আসে। বাধা দিলে তাকেও মারবে বলে হুমকি দেয়। একাধিক হকার জানায়, তারা গরিব মানুষ। লঞ্চে হকারী তাদের পেশা। আগে টার্মিনাল পন্টুনে ঝুড়িতে ফলপাকর বিক্রি করত। তা বন্ধ হলে, এখন তারা লঞ্চে হকারী করে জীবিকা নির্বাহ করে। তাতেও আবার নৌ পুলিশের নামে চাঁদা তোলা হচ্ছে। সুমন ও সেলিম নামে দু’জনে প্রত্যেক হকারের কাছ থেকে ৫০ টাকা করে চাঁদা তুলছে। হকার আছে প্রায় আড়াই শ’। দৈনিক ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা চাঁদা তোলা হচ্ছে। তার পরেও নৌ পুলিশ মাঝে মধ্যে ঝামেলা করে। আরো ৫০ টাকা বাড়িয়ে দিতে বলে। পুলিশের নামে চাঁদা তোলার বিষয়ে চাঁদাবাজ সুমন বলে, নৌ পুলিশের এসআই শহিদ ও জাকিরের নির্দেশে এ টাকা তোলা হচ্ছে। প্রত্যেক হকার থেকে ৫০ টাকা করে চাঁদা তোলা হয়। আর এ টাকা নৌ পুলিশের এসআই শহিদ কিংবা জাকির স্যারকে দেয়া হয়। এসব ঘটনা সদরঘাটের সবাই জানে বলে জানায় চাঁদাবাজ সুমন। নৌ পুলিশে কর্মরত এসআই শহিদ সদরঘাট থানায় দীর্ঘদিন যাবত কর্মরত। এর আগে একবার বদলি হলেও ফের আবার সদরঘাট থানায় যোগদান করেন শহিদ। তিনি মূলত থানার ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পালন করেন। তাই লঞ্চে হকার থেকে চাঁদাবাজিও তিনি করান বলে জানা গেছে। অভিযুক্ত এসআই শহিদ বলেন, তিনি কাউকে দিয়ে কোথাও থেকে কোনো টাকা তুলতে নির্দেশ দেননি। যাকে দিয়ে চাঁদা তোলানো হচ্ছে সে তো আপনার নাম বলছে এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, তাহলে তো কিছু করার নেই। এ বিষয়ে এসপি খন্দকার ফরিদুল ইসলাম নয়া দিগন্তকে বলেন, নৌ পুলিশের কোনো সদস্য লঞ্চে হকারদের কাছে থেকে চাঁদা তুলছে কিংবা তোলাচ্ছে এমন সত্যতা মিললে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement