সিলেট জেলা বারের সভাপতি ফয়েজ

সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে এ টি এম ফয়েজ পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। এই নির্বাচনের ভোট গণনা শেষে শুক্রবার ভোরে ফয়েজকে নির্বাচিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে মাহফুজুর রহমান ও ফজলুল হক সেলিম সমান ভোট পাওয়ায় এই পদে কাউকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়নি। এর আগে গত বৃহস্পতিবার আইনজীবী সমিতির ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতি পদে এ টি এম ফয়েজ ৮৭১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সারোয়ার আহমেদ চৌধুরী আবদাল পেয়েছেন ৪৩৩ ভোট।
১ম সহসভাপতি পদে ৬৪০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন এ কে এম ফখরুল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এখলাসুর রহমান পেয়েছেন ৫৬৪ ভোট। ২য় সহ-সভাপতি পদে পান্না লাল দাস ৪৪৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এই পদে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাদিয়া চৌধুরী মুন্নি ৩৪৯ ভোট পেয়েছেন। আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে মাহফুজুর রহমান ও ফজলুল হক সেলিম দু’জনই সমান সংখ্যক ৬২৭ ভোট পেয়েছেন। এই পদে আবার ভোটগ্রহণ হতে পারে ।
১ম যুগ্ম সম্পাদক পদে শিব্বির আহমদ বাবলু ৪৩২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী খালেদ আহমেদ জুবায়ের ৩৬৮ ভোট পেয়েছেন। ২য় যুগ্ম সম্পাদক পদে মো: মিনুর রহমান টিটু ৬৩৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিদ্যুৎ কুমার দাস বাপন ২৯৫ ভোট পেয়েছেন।
সমাজবিষয়ক সম্পাদক ৫২১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আজিম উদ্দিন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সুহেল মিয়া ৪০৩ ভোট পেয়েছেন।
সহ-সমাজবিষয়ক সম্পাদক পদে মো: মকসুদ আহমদ ৫৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সালেক আহমদ পেয়েছেন ৪৮১ ভোট। লাইব্রেরি সম্পাদক পদে আব্দুল মুকিত অপি ৫৬৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী রাসেল খান ৪৬৭ ভোট পেয়েছেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে মো: আলীম উদ্দিন ৫৯২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আখতার উদ্দিন টিটু ৩৬৭ ভোট পেয়েছেন। সহকারী নির্বাচন কমিশনার পদে মইনুল হক ৭৩৭ ভোট পেয়ে ও মইনুল ইসলাম ৬৮৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। সহ-সম্পাদক কবির আহমদ (৮৫৯ ভোট), কাওসার আহমদ (৮০২ ভোট) ও মোবারক হোসাইন (৬৬৩ ভোট) বিজয়ী হয়েছেন।
এ ছাড়া সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যের ১১টি পদে আব্দুল গফফার ৯৫৫ ভোট, মো: ওবায়দুর রহমান ৮০৭ ভোট, জ্যোতির্ময় পুরকায়স্থ (কাঞ্চন) ৭৮৮ ভোট, কল্যাণ চৌধুরী ৭৪২ ভোট, মো: রাজ উদ্দিন ৭৪১ ভোট, মো: আব্দুল মান্নান চৌধুরী ৭২৩ ভোট, এ এস এম আব্দুল গফুর ৭১১ ভোট, লুৎফা বেগম চৌধুরী ৭১০ ভোট, জসিম উদ্দিন আহমদ ৬৫২ ভোট, এম ই এম ইকবালুর রহমান ৬২৯ ভোট ও আবু মোহাম্মদ আসাদ ৬২৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সমিতির ২ নম্বর হলের ২য় ও ৩য় তলায় একটানা চলে ভোটগ্রহণ। এরপর সমিতির ২ নম্বর হলের ১ম তলা ও ২য় তলায় শুরু হয় ভোট গণনা। এবারের নির্বাচনে ১ হাজার ৬১০ জন ভোটারের মধ্যে ১৩৪৬ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো: এমদাদুল হক।