২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এক মলাটে আল্লামা গহরপুরী রহ:-এর বর্ণাঢ্য জীবন ও কর্ম

-

সর্বমহলে বরেণ্য বুজুর্গ আলেম ছিলেন শায়খুল হাদিস আল্লামা নূরউদ্দীন আহমদ গহরপুরী রহ:। ‘মুহাদ্দিস সাহেব’ ও ‘গহরপুরী হুজুর’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন দেশ-বিদেশে। শাইখুল আরব ওয়াল আজম হোসাইন আহমদ মাদানি রহ:-এর একান্ত খাদেম ও শাগরেদ ছিলেন। সিলেটের জামিয়া গহরপুরসহ অসংখ্য মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষক ছিলেন তিনি। ১৯৯৬ সাল থেকে প্রায় ৯ বছর জাতীয় প্রতিষ্ঠান কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ইলমি ও আধ্যাত্মিকতায় তার অবস্থান ছিল অনন্য উচ্চতায়। বরেণ্য এই আলেমের ইন্তেকালের প্রায় ১৫ বছর পর তার ওপর প্রকাশিত হয়েছে একটি সমৃদ্ধ ও প্রামাণ্য স্মারকগ্রন্থ। সেখানে উঠে এসেছে তার জীবন-কর্ম ও সাধনার নানা দিক।
স্মারকগ্রন্থটির শুরুতে রয়েছে আল্লামা গহরপুরী রহ:-এর সংক্ষিপ্ত জীবনী। নানা শ্রেণী-পেশার ২৪১ জনের লেখায় সমৃদ্ধ হয়েছে স্মারকগ্রন্থটি। দেশের প্রথম সারির আলেমদের বড় অংশের লেখা স্থান পেয়েছে এতে। রয়েছে এমপি-মন্ত্রী-মেয়রসহ সমাজের বিশিষ্টজনদের লেখাও। ১২টি অধ্যায়ে বিভক্ত স্মারকগ্রন্থটিতে এই বুজুর্গ আলেমের জীবনের প্রায় সব দিকই উঠে এসেছে। দীর্ঘ সময় নিয়ে কাজ করার ফলে স্মারকগ্রন্থটিতে এমন প্রায় ৭০ জনের লেখা এসেছে যারা গত এক দশকে দুনিয়া থেকে চলে গেছেন।
‘সমকালীন মনীষীদের চোখে’ অধ্যায়ে দেশের শীর্ষ ১২ জন আলেম-মনীষীর লেখা স্থান পেয়েছে, যাদের কেউ আর এখন বেঁচে নেই। পরের অধ্যায়ে স্থান পেয়েছে আল্লামা গহরপুরী রহ:-এর ৯ জন খলিফার অভিব্যক্তি। ‘স্মৃতির আঙিনায়’ ১১৫ জনের স্মৃতিচারণমূলক লেখা রয়েছে। পর্যালোচনা অধ্যায়ে তার জীবনের ওপর মূল্যায়নধর্মী লেখা রয়েছে ৩৮টি। প্রবাসীরা স্মৃতিচারণ করেছেন স্বতন্ত্র অধ্যায়ে। এ ছাড়া এলাকাবাসীর কথা, পরিবারের সদস্যদের কথা, ঘনিষ্ঠ মানুষদের অভিব্যক্তি ও টুকরো কথা নিয়ে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন অধ্যায়। পরিশিষ্টে ইংরেজি ও আরবিতে দু’টি লেখায় তুলে ধরা হয়েছে এই মনীষী-আলেমের সংক্ষিপ্ত জীবনী।
প্রায় ৮০০ পৃষ্ঠার স্মারকগ্রন্থটি প্রকাশ করেছে আল্লামা গহরপুরী রহ: ফাউন্ডেশন। ঝকঝকে প্রচ্ছদে মোড়ানো বোর্ড বাঁধাই রয়েল সাইজের স্মারকগ্রন্থটির শেষ দিকে ২৪ পৃষ্ঠাজুড়ে চার রঙের প্রামাণ্য ফটো অ্যালবাম রয়েছে। সেখানে আল্লামা গহরপুরী রহ:-এর বিভিন্ন স্মৃতিচিহ্ন স্থান পেয়েছে।
সমৃদ্ধ এই স্মারকগ্রন্থটির সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন শরীফ মুহাম্মদ। নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন জহির উদ্দিন বাবর। আল্লামা গহরপুরী রহ:-এর সাহেবজাদা ও গহরপুর জামিয়ার মুহতামিম মাওলানা মুসলেহুদ্দীন গহরপুরীর তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত স্মারকগ্রন্থটিতে সহযোগী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন আবদুল্লাহ মুকাররম, আলী হাসান তৈয়ব ও রোকন রাইয়ান। সিলেটের জামিয়া গহরপুর, বন্দরবাজার আল মানার লাইব্রেরি, ঢাকার বাংলাবাজারের দারুল উলুম লাইব্রেরি, বায়তুল মোকাররমের দারুত তাযকিয়া থেকে সংগ্রহ করা যাবে স্মারকগ্রন্থটি। এ ছাড়া রকমারি ডটকম থেকেও সংগ্রহ করা যাবে। গ্রন্থটির মূল্য এক হাজার টাকা রাখা হলেও গ্রাহকদের জন্য আছে বিশেষ কমিশন। বিজ্ঞপ্তি।


আরো সংবাদ



premium cement