খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগের আউটসোর্সিং কর্মচারীর সংবাদ সম্মেলন
- খুলনা ব্যুরো
- ০৩ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০
খুলনা জেনারেল হাসপাতালসহ সিভিল সার্জনের আওতাধীন বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে আউটসোর্সিংয়ে কর্মরত ২১১ জন কর্মচারীর সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধির হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। গতকাল খুলনা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন করে আউটসোর্সিং কর্মচারীরা এ আবেদন জানান। সম্মেলনে খুলনা জেনারেল হাসপাতালসহ ৯টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত অধিকাংশ আউটসোর্সিং কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আউটসোর্সিং কর্মচারী হাসিবুল ইসলাম। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০১৯ সালের মে মাসে ২১১ জন নিয়োগ পান। মেসার্স তাকবীর এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তারা চাকরিতে যোগদান করলেও প্রায় ১৩ মাস পর এ বছরের জুলাই মাসে তারা বেতন পান। কিন্তু এর পর থেকেই আবারো বেতন বন্ধ। এরই মধ্যে ঠিকাদার পরিবর্তনের কথা শোনা যায়। বর্তমান সিভিল সার্জন তাদেরকে জানিয়ে দেন যে, ‘তোমাদের চাকরি নেই’। কিন্তু ঠিকাদার তাদেরকে নিজ নিজ কর্মস্থলে থেকে দায়িত্ব পালন করে যেতে বলে। এমনকি সিভিল সার্জন তাদের চাকরি নেই বললেও তিনি নিজেও তাদের অর্থাৎ আউটসোর্সিং কর্মচারীদের সেবা নিয়ে থাকেন। বিশেষ করে করোনাকালীন তারাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। অথচ তারা বেতনবঞ্চিত হয়ে আসছেন। তার পরেও প্রথম বারের মতো আবারো তারা একসাথে বেতন পাবেন এই আশায় ধার-দেনা করে চলতে থাকেন। কিন্তু দিন যতই যাচ্ছে ততোই তাদের চাকরিহারা হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে।
বক্তব্যে বলা হয়, কয়েক দিন আগে তারা জানতে পারেন যে তাকবীর এন্টারপ্রাইজকে বাদ দিয়ে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সিভিল সার্জন নিজেও তাদেরকে একাধিকবার বলেছেন যে, যদি চাকরি করতে হয় তাহলে যেন নতুন ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ করি। নতুন ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ করলে তাদের কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করা হয়। কিন্তু তাদের এত টাকা দেয়ার সামর্থ্য নেই। তা ছাড়া এক বছরের মেয়াদের চাকরির চুক্তিতে এত বিপুল পরিমাণ টাকা দেয়ার অর্থই হয় না। এখন ২১১ জনের পরিবারে চরম হতাশা বিরাজ করছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা