‘কাজী রফিকুল আলম ও উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন’ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠান

কাজী রফিকুল আলম একজন অনুকরণীয় মানুষ। ‘কাজী রফিকুল আলম ও উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন’ শীর্ষক বইটি শুধু স্মৃতিচারণ নয়, বা একটি ঐতিহাসিক দলিল নয়, এটা সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অন্যতম চিন্তার সম্পদ।
শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডির ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘কাজী রফিকুল আলম ও উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন’ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ব্র্যাকের চেয়ারপারসন ও পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক অবয়বে কাজী রফিকুল আলম যে সফলতা নিয়ে এসছেন তার নিজের জীবনে এবং প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অগণিত মানুষের জীবনে তারচেয়েও গুরুত্বপূর্ণ মনে করি দর্শনের সাথে মিশনের সমন্বয়।
অনুষ্ঠানের মধ্যমণি কাজী রফিকুল আলম বলেন, কর্মযজ্ঞে বাস্তবতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন। আমরা এরই মধ্যে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ স্বীকৃতি ‘স্বাধীনতা পদক’ পেয়েছি। আন্তর্জাতিকভাবেও অনেক স্বীকৃতি রয়েছে আমাদের কাজের। এ তালিকা দীর্ঘ।
অনুষ্ঠানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, প্রতিষ্ঠান গড়তে গড়তে কাজী রফিকুল আলম নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান হয়ে গেছেন। তিনি এ ক্ষেত্রে একজন রোল মডেল। নারী উন্নয়নের ক্ষেত্রে তার যে মূল্যবোধ তা অতুলনীয়।
প্রফেসর ড. এম. শমশের আলী বলেন, কাজী রফিকুল আলম একজন স্বপ্নদ্রষ্টা।
সাবেক সচিব ও এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মজিদ বলেন, তার চিন্তা-চেতনা এবং ভালো কাজের নিদর্শন আল্লাহতাআলা কবুল করেছেন।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সাধারণ সম্পাদক ড. এসএম খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মুহম্মদ এলতাস উদ্দিন, অধ্যাপক শফিউল আলম, সাখাওয়াত আলী ও আব্দুল বারী-আল বাকী।
অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (সিনেড) সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহনেওয়াজ খান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের নির্বাহী পরিচালক ড. এম. এহ্ছানুর রহমান।
এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর ড. এম এইচ খান, প্রফেসর আবু তৈয়ব আবু আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিন আহমেদ, সাবেক স্বাস্থ্যসচিব ফজলুর রহমান ও হজ ফাইন্যান্স কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুমী এহ্সানুল হকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। বিজ্ঞপ্তি।