১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাংলালিংক ইনোভেটর্স চতুর্থ গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত

-

উদ্ভাবনী তরুণদের জন্য আয়োজিত ডিজিটাল পরিকল্পনার প্রতিযোগিতা বাংলালিংক ইনোভেটর্সের চতুর্থ আসরের গ্র্যান্ড ফিনালে গতকাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনলাইনে অনুষ্ঠিত এই গ্র্যান্ড ফিনালেতে এবারের সেরা তিন দলের নাম ঘোষণা করা হয়। শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন। এ ছাড়াও এই আয়োজনে যুক্ত ছিলেনÑ ভিওন-এর গ্রুপ চিফ পিপল অফিসার এলেনা সুতিক, বাংলালিংকের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এরিক অস, চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফিসার মনজুলা মোরশেদ, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার উপাঙ্গ দত্ত এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
প্রতিযোগিতাটিতে অংশগ্রহণের জন্য এবার প্রায় ১৬ হাজার তরুণ-তরুণী আবেদন করেন। বাছাইকৃত প্রতিযোগীরা অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে গ্রুমিং, বুট ক্যাম্প সেশন, ওয়ার্কশপ ও আরো কিছু কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ পান।
গ্র্যান্ড ফিনালেতে প্রতিযোগীদের নিয়ে গঠিত মোট পাঁচটি দল তাদের পরিকল্পনা উপস্থাপন করে। উপস্থাপিত পরিকল্পনাগুলো মূল্যায়নের পর সেরা তিনটি দলের নাম ঘোষণা করে প্রতিযোগিতার বিচারকরা। স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্ল্যাটফর্মের ওপর পরিকল্পনা দিয়ে প্রথম স্থান অর্জন করে টিম ডিকোড। প্রতিযোগিতার প্রথম রানার আপ টিম হোয়াইট কলার ক্রু ও দ্বিতীয় রানার আপ টিম ব্লিঙ্ক গেমিং প্ল্যাটফর্মের ওপর তাদের পরিকল্পনা উপস্থাপন করে।
এই তিনটি দলের সদস্যরা পাবেন ‘স্ট্র্যাটেজিক অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রাম’-এর ‘অ্যাসেসমেন্ট সেন্টার’-এ সরাসরি যোগদানের সুযোগ ও আকর্ষণীয় পুরস্কার। এ ছাড়া সেরা পাঁচটি দলের সদস্যরা বাংলালিংকের ‘অ্যাডভান্সড ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম (এআইপি)’-এ সরাসরি যোগদান করার পাশাপাশি ‘লার্ন ফ্রম স্টার্টআপস’ ও ‘ক্যাম্পাস টু করপোরেট’-এ অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
অনুষ্ঠান শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি বলেন, তরুণদের মধ্যেই একটি জাতির মূল শক্তি ও সম্পদ নিহিত থাকে। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য ডিজিটাল উপায়ে তাদের ক্ষমতায়ন করা প্রয়োজন। তাই আমাদের দায়িত্ব হলোÑ এমন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা, যেখানে তারা বিকশিত হবেন ও তাদের ডিজিটাল দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারবেন।
বাংলালিংকের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এরিক অস বলেন, ‘এই কর্মসূচির চতুর্থ আসর সাফল্যের সাথে সমাপ্ত করার পাশাপাশি বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এই উদ্ভাবনী তরুণদের প্রয়োজনীয় সুযোগ দেয়া গেলে তারা নিজেদের প্রতিভা বিকাশ করতে পারবেন। বাংলালিংকের চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফিসার মনজুলা মোরশেদ বলেন, সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা মহামারীর বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্যেও বাংলালিংক ইনোভেটর্স আয়োজন করতে সক্ষম হয়েছি। প্রতিভাবান তরুণদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্য নিয়ে আমরা এই উদ্যোগ ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখতে চাই।
২০১৭ সালে চালু হওয়ার পর থেকে বাংলালিংক ইনোভেটর্স প্রতি বছর নিয়মিত আয়োজিত হয়ে আসছে। বিজ্ঞপ্তি।

 


আরো সংবাদ



premium cement