২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কাজী আনিসের বিপুল অবৈধ সম্পদ জব্দ

ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ
-

যুবলীগের বহিষ্কৃত দফতর সম্পাদক ক্যাসিনোকাণ্ডের অন্যতম হোতা পলাতক আসামি কাজী আনিসুর রহমান আনিসের অবৈধভাবে গড়ে তোলা ঢাকার বাড়ি, ফ্ল্যাটসহ বিপুল পরিমাণ সম্পদ জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ছাড়াও কাজী আনিসের গোপালগঞ্জের মোকসেদপুরের গ্রামের বাড়ি, পেট্রলপাম্প ও বিপুল পরিমাণ জমি জব্দ করেছে দুদক।
গত বছর সেপ্টেম্বরে র্যাবের অভিযানে ঢাকার বিভিন্ন ক্রীড়া ক্লাবে ক্যাসিনো ব্যবসায় যুবলীগ নেতাদের সম্পৃক্ততার তথ্য বেরিয়ে আসে। ক্যাসিনোকাণ্ডসহ নানা অনিয়মে যুবলীগের বহিষ্কৃত ঢাকা দক্ষিণ সিটির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্্রাট, জি কে শামীমসহ যুবলীগের সামনের সারির কয়েকজন নেতা গ্রেফতার হন। সে সময় কাজী আনিস কয়েক বছরের মধ্যে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ার তথ্য গণমাধ্যমে এলে গা ঢাকা দেন যুবলীগ নেতা কাজী আনিস। পরে ১১ অক্টোবর তাকে বহিষ্কার করে যুবলীগ। যুবলীগের কেন্দ্রীয় অফিসে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে ২০০৫ সালে কাজ শুরু করেন গোপালগঞ্জের মোকসেদপুরের বাসিন্দা আনিস।
দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য গতকাল সোমবার জানিয়েছেন, গত বছরের ২৯ অক্টোবর কাজী আনিস ও তার স্ত্রী সুমি রহমানের বিরুদ্ধে আলাদা মামলা করে দুদক। আনিসের বিরুদ্ধে মামলায় ক্যাসিনো কারবারের মাধ্যমে ঘোষিত আয়ের বাইরে ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকার সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের আবেদনে সাড়া দিয়ে সম্প্রতি ঢাকার একটি আদালত কাজী আনিসের সম্পদ জব্দ করার আদেশ দেন বলে প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান।
জব্দ হওয়া সম্পদের বিষয়ে দুদকের একজন কর্মকর্তা বলেন, কমিশনের তদন্তে রাজধানীর কলাবাগানে আনিসের পাঁচতলা একটি বাড়ি পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ধানমন্ডি ও ওয়ারীতে তার দু’টি ফ্ল্যাট, এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্লø্যান মার্কেটে তিনটি দোকান ও ১৩ বর্গফুট বাণিজ্যিক স্পেস, গুলশান-২ এলাকার একটি মার্কেটে দু’টি দোকান পাওয়া গেছে। অন্য দিকে রাজধানীর বাইরে জন্মস্থান গোপালগঞ্জের মোকসেদপুরের বোয়ালিয়ায় বিলাসবহুল বাড়ি, একটি পেট্রলপাম্প, ৩০ কোটি টাকার ১৫ বিঘা জমি ও কেরানীগঞ্জে ৪০ কাঠা জমি পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আনিসের ৫০ কোটি টাকার ব্যাংক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানান দুদকের কর্মকর্তারা।
যুবলীগের তৎকালীন চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুযোগে ২০১২ সালে উপ-দফতর সম্পাদকের পদ পেয়ে যান আনিস। দফতর সম্পাদকের পদটি খালি থাকায় ছয় মাসের মধ্যে তাকে ওই পদ দেয়া হয়।
এরপর ঢাকায় একাধিক গাড়ি-বাড়ি, ফ্ল্যাট ও জমির মালিক হয়ে যান কাজী আনিস।

 


আরো সংবাদ



premium cement