১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সৈয়দ কায়সারের মৃত্যু পরোয়ানা কারাগারে

-

মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী এবং জাতীয় পার্টির নেতা সৈয়দ মো: কায়সারের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। গতকাল তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি পাওয়ার পর এ পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনাল থেকে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করার পর গতকাল বিকেলে তা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পাঠানো হয়েছে। লাল কাপড়ে মুড়িয়ে পরোয়ানাটি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠানো হয়। তবে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা হলেও এখনই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হচ্ছে না সৈয়দ মো: কায়সারের। আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা বা রিভিউ আবেদন করতে পারবেন তিনি। আদালতে রিভিউ আবেদন খারিজ হওয়ার পরও তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ পাবেন।
এ বিষয়ে সৈয়দ কায়সারের আইনজীবী এস এম শাহজাহান বলেছেন, আমরা অবশ্যই রিভিউ আবেদন করব। আশা করি সফল হব। তার আরেক আইনজীবী তানভীর আহমেদ আল আমিন বলেন, পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি পেয়েছি। রিভিউ করতে সার্টিফাইড কপির জন্য আবেদন করেছি। কপি পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে আমরা রিভিউ করব। গত ১৪ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ সৈয়দ মো: কায়সারের (আপিল আংশিক মঞ্জুর করে) মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন।
আপিল বিভাগ সৈয়দ কায়সারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আনা ৫, ১২ ও ১৬ নম্বর অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। এ ছাড়া চারটি অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং চারটি অভিযোগে খালাস দেন। বাকি অভিযোগগুলোতে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে।
২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর সৈয়দ মো: কায়সারকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। তার বিরুদ্ধে গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনের পৃথক ১৬টি অভিযোগের ঘটনার মধ্যে ১৪টিতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এরমধ্যে সাতটি অভিযোগে ঘটনায় পৃথক পৃথকভাবে প্রত্যেকটিতে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়। চারটি অভিযোগের ঘটনায় আলাদাভাবে প্রত্যেকটিতে আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। অপর তিনটি অভিযোগে ২২ বছর কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এ ছাড়া প্রমাণিত না হওয়ায় অপর দু’টি অভিযোগ থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
সৈয়দ কায়সার ১৯৪০ সালের ১৯ জুন জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬২ সালে তিনি কনভেনশন মুসলিম লীগে যোগদান করেন। তিনি ১৯৭০ সালের প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেন। তিনি ১৯৭৯ সালে সিলেটের একটি আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। এরপর তিনি এরশাদের জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন এবং হবিগঞ্জ জেলার সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে তিনি জাতীয় পার্টি থেকে এমপি নির্বাচিত হন এবং কৃষি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। ২০১৩ সালের ১৫ মে কায়সারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। একই বছরের ২১ মে তাকে রাজধানীর এ্যাপোলো হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করা হয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement
তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে বিএনপি : কাদের রৌমারীতে বড়াইবাড়ী সীমান্তযুদ্ধ দিবস পালিত

সকল