২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আজ ড. মোশাররফের ৭৫তম জন্মদিন

-

বর্ষীয়ান রাজনীতিক, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ৭৫তম জন্মদিন আজ বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর)।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. মোশাররফ হোসেন প্রথিতযশা ভূ-বিজ্ঞানী, খ্যাতিমান লেখক, কলামিস্ট ও গবেষক। তিনি ১৯৪৬ সালের ১ অক্টোবর কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার গয়েশপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
ড.মোশাররফ কুমিল্লার দাউদকান্দি হাইস্কুল থেকে ’৬২ সালে মেট্রিকুলেশন, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে ’৬৪ সালে আইএসসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ’৬৮ সালে এমএসসি, ’৭০ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইম্পেরিয়াল কলেজ থেকে এমএসসি, ’৭৩ সালে ডিআইসি ডিপ্লোমা এবং ’৭৪ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি লাভ করেন। তিনি ’৭৫ সালে বিলাত থেকে দেশে ফিরে পুনরায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন এবং পর্যায়ক্রমে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। ’৮৭ থেকে ’৯০ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূ-তত্ত্ব বিভাগে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ও কর্মজীবনে ড. মোশাররফের অর্জনের ভাণ্ডার বিশাল। তিনি ১৯৬৪-৬৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের এজিএস এবং ১৯৬৭-৬৮ শিক্ষাবর্ষে হাজী মুহাম্মদ মহসিন হলের ভিপি নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে বিশ্বজনমত সৃষ্টির জন্য তিনি ’৭১ সালে বিলাত প্রবাসী বাংলাদেশীদের সংগঠিত করেন এবং ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দেন। বিভিন্ন সরকারের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে ষড়যন্ত্রমূলক রাজনৈতিক মামলায় ড. মোশাররফ ১৯৮৬, ১৯৯৬, ২০০৭, ২০১২ এবং ২০১৪ সালে গ্রেফতার হয়ে প্রায় পাঁচ বছর কারান্তরীণ ছিলেন।
’৭৯ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ঢাবির মেধাবী শিক্ষক ড. মোশাররফ বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন এবং দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ’৯৪ সাল থেকে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য পদে অধিষ্ঠিত রয়েছেন। ড. মোশাররফ কুমিল্লা-২ আসন থেকে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি ’৯১-’৯৬ মেয়াদে বিএনপি সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রী, ’৯৬ সালে স্বল্প মেয়াদে সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ২০০১-০৬ মেয়াদে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী হিসেবে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেন। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।
২০০৩ সালে তিনি বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ৫৬তম সম্মেলনের সভাপতি নির্বাচিত হন। তার সভাপতিত্বে ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোবাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি) গৃহীত হয়। বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন এবং বিশ্বব্যাপী তামাকবিরোধী আন্দোলনে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ড. মোশাররফকে ‘ডড়ৎষফ হড় ঃড়নধপপড় ধধিৎফ-২০০৪’ পদকে ভূষিত করে।
ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ১০টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি দুই ছেলে ও এক কন্যাসন্তানের জনক। বিজ্ঞপ্তি।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement