১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪২৯, ০৮ রমজান ১৪৪৫
`

অসাধু কল মালিকরা ধান-চালের মজুদ করায় বাজার অস্থিতিশীল

নিজের জেলাতেও মজুদ নিয়ে খাদ্যমন্ত্রীর আক্ষেপ
-

একশ্রেণীর অসাধু চালকল মালিক অবৈধভাবে ধান ও চাল মজুদ করে রাখার জন্য চালের বাজার অস্থিতিশীল হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, আমার নিজের এলাকায় হাজার হাজার মেট্রিক টন ধান মজুদ রয়েছে। তাহলে আমার মনে কেমন লাগে?
গতকাল মঙ্গলবার খাদ্য ভবন সভাকক্ষে চালকল মালিক ও চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাথে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে কৃষকদের কাছে ২ শতাংশও ধান নেই। আমি ৯ দিন নওগাঁ, বগুড়া, জয়পুরহাট এলাকায় ঘুরেছি। বড় বড় মিলার কিছু পরিমাণ ধান মজুদ রেখেছে এতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু দেখা গেছে মিল বন্ধ, লাইসেন্সও নবায়ন করেনি অথচ সেসব মিলেও ৫০০, হাজার, দেড় হাজার মেট্রিক টন ধান মজুদ রেখেছে। ধানে গাছ গজিয়ে গেছে, এগুলো কার ধান।
তিনি বলেন, গত দুই দিন আমি গোপন সার্ভে করে প্রায় ৫০টা মিলের খোঁজ পেয়েছি; এসব মিলে নিম্নে ২০০ মেট্রিক টন থেকে সর্বোচ্চ তিন হাজার মেট্রিক টন ধান মজুদ রয়েছে। এমনকি ৫০০ মেট্রিক টন চালও মজুদ রয়েছে। এ সার্ভে যদি আরো সাত দিন করা হয় তাহলে শত শত চালকল পাওয়া যাবে সেখানে এভাবে ধান মজুদ রাখা হয়েছে। আড়তদাররাও ধান ও চাল মজুদ করে রাখছে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, একটা বন্ধ মিলে ১ হাজার ৪৪৭ মেট্রিক টন ধান ও ৭০০ মেট্রিক টন চাল মজুদ করে রাখা হয়েছে। এটা কী পরিকল্পিতভাবে সরকারকে বেকায়দায় ফেলা হচ্ছে না? যেসব মিল মালিক এ ধরনের অবৈধ মজুদ করছেন না, তারাও অবৈধ মজুদদারদের বিরুদ্ধে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছেন না।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমি নওগাঁর মন্ত্রী, নওগাঁর মিল মালিকরা যদি হাজার হাজার মেট্রিক টন ধান ও চাল মজুদ করে রাখে তাহলে আমার মনে কী হয়! মিল মালিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা সব জানেন কিন্তু তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন না। আপনারা শুধু এই সেই তথ্য দেন।
খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব ড. মো: জাফর উদ্দীন, কৃষি সচিব মো: নাসিরুজ্জামান, খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement