২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

উখিয়ার পাটুয়ারটেক পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে

-

প্রাকৃতিক বিস্ময়। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত সেরা পর্যটন নগরী কক্সবাজার। কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের মধ্যপথে উখিয়ার ইনানী সমুদ্রসৈকত। একটু যেতেই পাটুয়ারটেক। মেরিন ড্রাইভ সড়কের একপাশে পাথুরে গাথা বিশাল সমুদ্র আর অন্য পাশে বলয়জুড়ে পাহাড়ের বিস্তৃতি। পাটুয়ারটেক সমুদ্রসৈকত এবং সেখানকার বালিতে আছড়ে পড়া ঢেউ দেখলে রাতের বেলা মনে হয় যেন ছড়িয়ে আছে অসংখ্য রতœ। নিকষ অন্ধকারে উজ্জ্বল নীল এ দৃশ্য দেখলে মনে হয় যেন তারা ঝলমল রাতের আকাশ। বর্ষায় পাহাড়ের অরণ্যের এ রূপ সব থেকে ভালো দেখা যায়। বাতাসে অত্যধিক পরিমাণে জলীয়বাষ্প জমলে তার সাথে মিসেনা ব্যাকটেরিয়ার বিক্রিয়ায় সৃষ্টি হয় উজ্জ্বল আলোর। প্রকৃতিতে রাতে নির্জন সৈকত ও গভীর অরণ্যে এনে দেয় আলো ঝলমলে উজ্জ্বলতা। বিশাল আকাশের নিচে বিস্তৃত এক অপরূপ লীলাভূমি উখিয়ার পাটুয়ারটেক পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে। ইনানী ও পাটুয়ারটেকের পূর্বে থাকাতেই দেখা মিলে সুপারি আর নারকেল গাছের সারি, সোনালি ফসলে আপন মনে কাজ করছে কৃষক। সবুজ পাহাড় বেষ্টিত পাথুরে গাথা সমুদ্রে পথে পথে দেখা মিলে সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। গভীর সমুদ্রে জেলেদের ব্যস্ততা, সাগর থেকে মাছ নিয়ে ফেরে জেলেরা। কেউ জাল বুনে অবসরে, কেউ আবার উত্তাল সাগরে নৌকা ভেড়ায়। শারমিন আক্তার এবারই প্রথম উখিয়ার পাটুয়ারটেক সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে এসেছেন। তিনি বলেন, আমার সব চাইতে বেশি ভালো লেগেছে লাল কাঁকড়া। সাগরের বিভিন্ন জাতের কাঁকড়া ভেজা মাটিতে ছোট ছোট গর্তে মুখ তুলে থাকে, হাঁটতে হাঁটতে দেখা যায় এসব গর্তে থাকা কাঁকড়াগুলো। করোনার কারণে মাসের পর মাস বন্ধ থাকার পর প্রবাসী জুলফিকার আলী ভুট্টো উখিয়ার পাটুয়ারটেক বেড়াতে আসেন। তিনি বলেন, আল্লাহর দেয়া অপরূপ সৌন্দর্যঘেরা উখিয়ার পাটুয়ারটেক দেখতে সত্যি অসাধারণ। এখানে হাজারো পর্যটক আসেন একটু বিনোদনের জন্যে। এখানকার পরিবেশ খুবই ভালো। মনোরম দৃশ্য সহজেই মন কেড়ে নেয়। সমুদ্রকেন্দ্রিক পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ থাকায় এ খাতে প্রায় হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পর্যটনের সাথে সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, মহামারী করোনাভাইরাস সংক্রমণে নাজেহাল সারা বিশ্ব। এই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিরূপ প্রভাব পড়েছে পর্যটন খাতে। পর্যটন স্পটগুলো খুলে দেয়ায় কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। এখন পর্যটনে মুখর হয়ে উঠেছে পাটুয়ারটেক সি-বিচ। প্রতিদিন হাজার হাজার ভ্রমণপিয়াসী মানুষের সমাগম ঘটে। মানুষ অনেক দিন ঘরে বন্দী থাকার পর আর মানছে না। এরা ছুটে চলছে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। সব জায়গায় নিষেধাজ্ঞা না মেনে লোকজন জড়ো হচ্ছে। অনেক আবার সপরিবারে ঘুরতে বের হচ্ছেন। এদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ইচ্ছে নেই। অনেকে মাস্কও পরছেন না। সমুদ্র স্পট থেকে শুরু করে এখানকার হাট-বাজারের অবস্থা দেখলে মনে হয়, করোনা বলে কিছু আর নেই। সব কিছু আগের মতো স্বাভাবিক। চারদিকে ভিড়, রাস্তায় যানজট। কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। এ অবস্থায় বিনোদনকেন্দ্রগুলো দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ায় করোনা সংক্রমণের হার আবারো ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা। সরকারের উচিত পর্যটকদের সুবিধার্থে এখানে নানান সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করা।

 


আরো সংবাদ



premium cement
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি : মিশা সভাপতি, ডিপজল সম্পাদক ফিলিপাইনে ব্রহ্মস পাঠাল ভারত, ৩৭৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি চীনের মোকাবেলায় নতুন ডিভিশন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে! আবারো চেন্নাইয়ের হার, ম্লান মোস্তাফিজ 'কেএনএফ' সন্ত্রাস : সার্বভৌম নিরাপত্তা সতর্কতা অর্থনীতিতে চুরি : ব্যাংকে ডাকাতি পাকিস্তানে আফগান তালেবান আলেম নিহত যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য না করলে এ বছরই রাশিয়ার কাছে হারতে পারে ইউক্রেন : সিআইএ প্রধান রাশিয়ার সামরিক শিল্পক্ষেত্রে প্রধান যোগানদার চীন : ব্লিংকন ইরাকে সামরিক ঘাঁটিতে 'বিকট বিস্ফোরণ' শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সকল