২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাজশাহীতে চালসহ নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী : বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

-

রাজশাহীতে বেড়েই চলেছে চাল, পেঁয়াজ ও সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম। চলতি সপ্তাহে তিন দিনের ব্যবধানে সবজির দাম বেড়েছে লাগামছাড়া। বাজারে ঊর্ধ্বমুখী পেঁয়াজের দামও। বেড়েছে চালের দাম। এতে করে চরম বিপাকে পড়েছেন নি¤œআয়ের মানুষ। বাড়তি দাম নিয়ে ক্রেতাদের নানা অভিযোগ রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে বিক্রেতাদের সাফ জবাব, বাজারে আমদানি কম। তাই এসব পণ্যের দাম বেড়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ সবজির দামই বাড়তি। কোন কোন সবজি প্রতি কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। মাত্র তিন দিন আগে আলুর দাম ছিল কেজি প্রতি ৩০ টাকা। তবে এখন বেড়ে হয়েছে ৩৫ টাকা। ফুলকপির দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ২০ টাকা করে। ফুলকপি ১০০ টাকা কেজিতে পাওয়া গেলেও এখন ১২০ টাকায় কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
বাড়তি দাম বরবটির ও বেগুনেরও। এই দুই সবজির দাম কেজিতে ১০ টাকা করে বেড়েছে। বরবটির দাম হয়েছে ৬০ টাকা। শসা ও টমেটোর দাম কেজি প্রতি ২০ করে বেড়েছে। তিন দিনের ব্যবধানে টমেটার দাম হয়েছে ১২০ টাকা। শসার দাম হয়েছে ৮০ টাকা। বাড়তি দাম পটল ও ঢেঁড়সেরও। পটলের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৫ টাকা করে। এখন ৩৫ টাকা কেজিতে পটল কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। ঢেঁড়স ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। দাম বেড়েছে লেবু এবং ডুমুরেও। লেবু ১০ টাাক হালি থেকে বেড়ে হয়েছে ১৫ টাকা। এখন ডুমুর ২০ টাকা কেজি থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৫ টাকা। মুলার দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। তিন দিন আগে ৩০ টাকা কেজিতে পাওয়া গেলেও এখন ৪০ টাকা কেজিতে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। সবজির দামের মতো ঊর্ধ্বমুখী পেঁয়াজের দাম। গত কয়েকদিন ধরেই বাড়তি পেঁয়াজের দাম। তিন দিন আগেই দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল কেজিতে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। এখন সেই দাম বেড়ে হয়েছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৫ টাকা করে। ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ৭০ টাকা থেকে বেড়ে ৭৫ টাকা হয়েছে। বাড়তি দাম আদা ও রসুনের। এসবের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ২০ টাকা করে। আদা ও রসুন এখন ১২০ টাকা কেজিতে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। তবে দেশী আদার দাম আরো বেশি বাড়তি। দেশী আদা এখন ১৬০ টাকা কেজি। সবজির মতোই বাড়তি দাম চালের। গত এক মাস ধরেই চালের দাম বাড়তি। প্রতিটি চালের দাম কেজিতে ১ টাকা থেকে ৫ টাকা র্পর্যন্ত বেড়েছে। আঠাশ চাল কেজি প্রতি ৪৮ টাকা থাকলেও দাম হয়েছে এখন ৫০ টাকা। মিনিকেটের দাম কেজি প্রতি ৩ টাকা করে বেড়ে হয়েছে ৫৩ টাকা। বাসমতির দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৫ টাকা করে। বাসমতি এখন ৬০ টাকা কেজিতে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। জিরাশালের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ২ টাকা করে। এই চাল এখন ৫২ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। ক্রেতারা জানান, বেশ কয়েকদিন ধরেই সবধরনের সবজির দাম বাড়ানো হয়েছে। এত বেশি দাম দিয়ে সবজি কেনা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। বারবার বিক্রেতারা বলেন দাম ঠিকই আছে। কিন্তু আমরা ক্রেতারা যখন কিনতে আসছি তখনই দাম অনেক বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে। তারা অভিযোগ করে বলেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে অযৌক্তিকভাবেও দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। আর বিক্রেতারা বলছেন, গত কয়েকদিন ধরেই সব সবজির দামই বেশি। সবজির আমদানি কম, তাই দাম বেড়েছে। তবে আমদানি বেশি হলেই দাম কমে যাবে। তবে অযৌক্তিক দাম বাড়ানোর অভিযোগ অস্বীকার করেন তারা।


আরো সংবাদ



premium cement
জামালপুরে হিট স্ট্রোকে মরিচ ব্যবসায়ীর মৃত্যু প্রধানমন্ত্রী ৬ দিনের সফরে বুধবার থাইল্যান্ড যাচ্ছেন রায়গঞ্জে পাটভর্তি ট্রাকে আগুন জামালপুরে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা ৪৬তম বিসিএস প্রিলি পরীক্ষার আসন বিন্যাস প্রকাশ ছোট দেশ কাতার অর্থনীতি ও কূটনীতিতে যেভাবে এত এগোল আশুলিয়ায় ছিনতাইকারীর হামলায় আহত নারীর মৃত্যু ‘মুসলিমদের সম্পদ পুনর্বণ্টন’ অভিযোগ মোদির, এফআইআর সিপিএমের প্রথম ধাপের উপজেলা ভোটে ২৬ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী বিখ্যাত চালকবিহীনবিমানের আবিষ্কারক কটিয়াদীতে আসছেন গাজার গণকবরের ‘বিশ্বাসযোগ্য ও স্বাধীন’ তদন্তের আহ্বান জাতিসঙ্ঘের

সকল