১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`
আনফিট গাড়ি চলছে কি না পর্যবেক্ষণ

সারা দেশে যানবাহন ফিটনেস টেস্টিং সেন্টার বাড়ানোর নির্দেশ

-

সড়কে আনফিট গাড়ি চলাচল করছে কি না তা পর্যবেক্ষণের জন্য সারা দেশে যানবাহন ফিটনেস টেস্টিং সেন্টার বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ২ মাসের মধ্যে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষকে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলেছেন আদালত। গতকাল বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সড়কে প্রায় ৪০ লাখ গাড়ি চলাচল করে। আর ৭০টি ফিটনেস পরীক্ষা সেন্টার আছে। সড়কগুলোতে কী ধরনের গাড়ি চলছে তা পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশে ফিটনেস টেস্টিং সেন্টারের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। সে কারণে যথাযথভাবে যানবাহনের ফিটনেস পরীক্ষা করা হচ্ছে না। বিষয়টি আদালতে তুলে ধরি। পরে আদালত যানবাহনের ফিটনেস টেস্টিং সেন্টার বাড়াতে আদেশ দেন। তানভীর আহমেদ বলেন, ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই হাইকোর্টের দেয়া আদেশের অধীনে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির দেয়া জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ৩৩ শতাংশ পরিবহন অযোগ্য, যদিও তাদের অনেকের ফিটনেস সনদপত্র রয়েছে।
অন্য দিকে বিআরটিএর আইনজীবী মো: রফিউল ইসলাম হাইকোর্টে বলেছেন, ইতোমধ্যে মেশিনের মাধ্যমে যানবাহনের ফিটনেস পরীক্ষা করতে আরো ১২টি কেন্দ্র স্থাপনের জন্য দরপত্র দেয়া হয়েছে।
এর আগে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে যানবাহনের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক ফিটনেস জরিপে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ২০১৮ সালের ৯ জুলাই বিআরটিএর চেয়ারম্যানকে আইনি নোটিশ দেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ। কিন্তু সে নোটিশের জবাব না পেয়ে ২০১৮ সালের ২৬ জুলাই তিনি একই বিষয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ফিটেনেসবিহীন যান চলাচল বন্ধে বিবাদিদের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না এবং ফিটনেসবিহীন যান চলাচল বন্ধে গণপরিবহনের ফিটনেস নিশ্চয়তা ও নজরদারিতে বিবাদিদের ব্যর্থতাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো: আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সচিব, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ সড়ক নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক, বিআরটিএর ইনফোর্সেমেন্ট বিভাগের পরিচালক ও পুলিশ মহাপরিদর্শককে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement