২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভিসি ও ট্রেজারার ছাড়াই চলছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

প্রশাসনিক কার্যক্রমে অচলাবস্থা
-

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় গত এক মাস ধরে ভিসি ও ট্রেজারার ছাড়াই চলছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। গত ২০ আগস্ট ভিসি অধ্যাপক হারুন উর রশিদ আসকারী এবং ২১ আগস্ট কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সেলিম তোহার মেয়াদ শেষ হয়। ফলে গত ২২ আগস্ট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদ দু’টি শূন্য হয়ে আছে। আটকে আছে ইবি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যদের বেতনভাতা। এ মাসেই ভিসি নিয়োগ না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারাও সামনের মাস থেকে বেতন পাবেন না। সব মিলিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে দিন পার করছে ইবির সাথে সংশ্লিষ্ট সবাই। জানা যায়, বর্তমান প্রশাসনের শেষ কার্যদিবসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দেয়ার অনুমতি দিয়ে যান বিদায়ী ভিসি অধ্যাপক হারুন-উর রশিদ আসকারী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সেলিম তোহা। কিন্তু ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২০ জন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী, ৯৪ জন আনসার সদস্য ও মাস্টাররোলে কর্মরত ৮০ জনের বেতনভাতার ব্যাপারে কোনো অনুমতি দিয়ে যেতে পারেননি। ফলে নতুন ভিসি না আসা পর্যন্ত তারা কোনো বেতনভাতা পাবেন না বলে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ। তিনি জানান, ভিসি ও কোষাধ্যক্ষ পদ শূন্য থাকায় তাদের বেতন আটকে আছে। সরকার ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য পদে কাউকে এখনো নিয়োগ দেয়নি। এমনকি বর্তমান প্রোভিসি অধ্যাপক শাহিনুর রহমানকেও অফিসিয়ালি কোনো দায়িত্ব দেয়নি। তাই তিনি আর্থিক ক্ষেত্রে কোনো অনুমোদন দিতে পারছেন না। এ দিকে বর্তমানে ক্যাম্পাসে নানামুখী উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে। সরকারের দেয়া ৫৩৭ কোটি টাকার মেগা প্রকল্পের কিছু কাজ শুরু হলেও ঠিকাদাররা নিয়মিত বিল পাচ্ছেন না। ফলে অধিকাংশ প্রকল্পের শ্রমিকরা কাজ বন্ধ রেখেছেন। অন্য দিকে নতুন কিছু ভবনের টেন্ডার সম্পন্ন হলেও ভিসির সিদ্ধান্ত ও অনুমতি ছাড়া কার্যাদেশ প্রদান করা যাচ্ছে না বলে প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী আলীমুজ্জামান টুটুল জানান, সব উন্নয়ন কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। নতুন কাজে হাত দিতে পারছি না। বন্ধের মধ্যে কিছু আবাসিক হলের সংস্কার কাজের টেন্ডার হয়েছিল। কিন্তু সিদ্ধান্তের অভাবে তাও সম্ভব হচ্ছে না। করোনাভাইরাসের কারণে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালু রেখেছিল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অনলাইন ক্লাসে পাঠদানের ফলে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে কিছুটা হলেও গতিশীলতা ফিরে এসেছিল। কিন্তু ভিসির মেয়াদ শেষ হতেই অধিকাংশ বিভাগের অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
তাদের দাবি, অনলাইন ক্লাসসহ অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম এবং সর্বস্তরের গতিশীলতা আনতে অতিদ্রুত নতুন ভিসি নিয়োগ দেয়া হোক। এ দিকে ভিসি না থাকায় রেজিস্ট্রার অফিসে প্রায় সাড়ে ৪০০ ফাইল আটকা পড়েছে। আটকে আছে কয়েকটি বিভাগের নতুন সভাপতি নিয়োগ ও প্রমোশন প্রক্রিয়াও। এ ছাড়া ছুটি সংক্রান্ত ব্যাপারেও বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে শিক্ষকদের। ফলে কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম। বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক আবু হেনা মোস্তফা জামাল জানান, ভিসি হচ্ছে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অলঙ্কার। সেই অলঙ্কার না থাকায় ক্যাম্পাসে কোনো গতিশীলতা নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শাহজাহান মণ্ডল জানান, ভিসি না থাকায় অ্যাকাডেমিকল্প্রশাসনিকসহ বিভিন্ন কালচারাল অ্যাক্টিভিটিস ব্যাহত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বাভাবিকভাবে গতিশীল রাখতে অবশ্যই পদ দু’টিতে অতিদ্রুত নিয়োগ দেয়া প্রয়োজন।

 


আরো সংবাদ



premium cement
গণকবরে প্রিয়জনদের খোঁজ কক্সবাজারে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, স্বজনদের হাসপাতাল ঘেরাও বঙ্গোপসাগরে ১২ নাবিকসহ কার্গো জাহাজডুবি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশকে ‘নেট সিকিউরিটি প্রোভাইডার’ হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র রাজশাহীতে তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি রাজশাহীতে টানা তাপদাহ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা শরীয়তপুরে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ জামায়াতের এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী নয় : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী নজিরবিহীন দুর্নীতির মহারাজার আত্মকথা ফতুল্লায় ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে নির্মাণকাজ বন্ধ, মারধরে আহত ২, মামলা পার্বত্যাঞ্চলে সেনাবাহিনী: সাম্প্রতিক ভাবনা

সকল