২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কলেজছাত্র সোহাগ খুনের ঘটনায় ২ জন গ্রেফতার

-

কিশোর গ্যাং গ্রুপের দ্বন্দ্বে রাজধানীর উত্তরখানে কলেজছাত্র মোহাম্মদ সোহাগ খুনের ঘটনায় অভিয্ক্তু দুইজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তারা হলেনÑ কিশোর গ্যাং ‘দি বসের’ প্রধান মাহবুবুল ইসলাম রাসেল ওরফে কাটার রাসেল ও হৃদয়। গত সোমবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ২টি বিদেশী পিস্তল, ২টি ম্যাগজিনসহ ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব বলছে, কিশোর গ্যাং ‘দি বস’ গ্রুপটি গ্রেফতার হওয়া হৃদয়ের নেতৃত্বে পরিচালিত হতো। লিডার হওয়ার কারণে গ্রুপটি ‘হৃদয় গ্যাং’ নামেও পরিচিত। হৃদয়ের গ্যাং-এর সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর তাদের সাথে ওঠাবসা করার সুবাদে কোনো ঝামেলা হলেই রাসেল পায়ের রগ কাটার ভয় দেখাতো। সে প্রায় সময় ছুরি, ক্ষুর ইত্যাদি সাথে রাখত। পায়ের রগ কাটার হুমকি দেয় বলেই সমবয়সী সবাই তাকে ‘কাটার রাসেল’ নামে ডাকতে শুরু করে এবং সে ওই নামেই এলাকায় পরিচিত হয়। সোহাগকে হত্যার পর হৃদয় ও রাসেল দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করছিল। টিভিতে অপরাধবিষয়ক বিভিন্ন নাটক দেখে দু’জন গ্রেফতার এড়াতে চেষ্টা করছিল এবং অল্প সময়ের মধ্যে কয়েকবার স্থান পরিবর্তন করে।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কাওরানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রথ্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাফী উল্লাহ বুলবুল বলেন, উত্তরা এলাকায় ‘দি বস’ নামে একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছিল কাটার রাসেল। এলাকায় আধিপত্য ধরে রাখার জন্য ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল গড়ে তোলে। উচ্ছৃঙ্খল চলাফেরার কারণে স্থানীয়রা তাদের এড়িয়ে চলত। এটিকে তারা নিজেদের ক্ষমতাবান মনে করে। ঘটনার দিন রিকশার চাকা থেকে ময়লা পানি শরীরে লাগাকে কেন্দ্র করে রিকশাচালককে মারধর করছিল। নিহত সোহাগ ওই রিকশার যাত্রী ছিল। ফলে সাধারণ বিষয় নিয়ে রিকশাচালককে মারধর করায় প্রতিবাদ করেন সোহাগ। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে রাসেল তার গ্রুপের নাদিম, সানি, মেহেদী, সাদ, সাব্বিরকে ডেকে নিয়ে এসে সোহাগকে মারধর করে এবং একপর্যায়ে সোহাগের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেয়। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। র্যাবের কর্মকর্তা বলেন, ঘটনার পর রাসেল ও হৃদয় আত্মগোপনে চলে যায়। সেই সঙ্গে দলের অন্য সদস্যদের আত্মগোপনে যেতে সহায়তা করে। এ ছাড়া পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে হৃদয় ও রাসেল দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করছিল।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক বলেন, কাটার রাসেল ও হৃদয় অত্যন্ত চালাক। তারা বিদেশী অপরাধবিষয়ক টিভি নাটক দেখে গ্রেফতার এড়াতে নানা কৌশল অবলম্বন করছিল। এমনকি তারা মোবাইল বা অন্য প্রযুক্তি যন্ত্র ব্যবহার থেকে বিরত ছিল। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকায় তারা বারবার স্থান পরিবর্তন করছিল। ফলে তাদের ধরতে রথ্যাবের গোয়েন্দা সদস্যদের বেশ বেগ পেতে হয়।
গত ২৭ আগস্ট রাতে উত্তরখানের খ্রিষ্টান পাড়ার ডাক্তারবাড়ি মোড় এলাকায় ছুরিকাঘাতে নিহত হয় সোহাগ। ঘটনার পর দিন নিহতের বড় ভাই মেহেদী হাসান সাগর বাদি হয়ে উত্তরখান থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় মাহবুবুল ইসলাম রাসেল ওরফে কাটার রাসেল, হৃদয়, সাদ, সাব্বির হোসেন ও সানির নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করা হয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ধুনটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু বাকৃবির এক্স রোটারেক্টরর্স ফোরামের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠিত পাবনায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড, হিট স্ট্রোকে মৃত্যু ১ দাগনভুঞায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তির ঘটনায় আ’লীগ নেতাকে শোকজ দখলে থাকা ৪ গ্রাম আজারবাইজানকে ফিরিয়ে দেবে আর্মেনিয়া স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্ত্রীর আত্মহত্যা! কুলাউড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু যেসব এলাকায় রোববার ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে পলাশ প্রেসক্লাবের সভাপতি মনা, সম্পাদক রনি তীব্র গরমে আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না বগুড়া পশ্চিম সাংগঠনিক জেলা জামায়াতের উদ্যোগে ভার্চুয়ালি রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত

সকল