২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`
পিপি হায়দার হত্যা মামলা

আসামিদের মৃত্যুদণ্ড বহাল

-

ঝালকাঠির আলোচিত জেএমবির হাতে নিহত পিপি অ্যাডভোকেট হায়দার হোসাইন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ উগ্রবাদীর সাজা বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। দু’জন বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকার ও শাহেদ নুরুউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিতি হাইকোর্ট বেঞ্চ ডেথ রেফারেন্সের মৃত্যুদণ্ড সাজা বহাল নেখেছেন। সাজা প্রদানকারী ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ডেথ রেফারেন্সর আদেশের কপি প্রেরণ করা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৫ উগ্রবাদীর মধ্যে মো: মুরাদ হোসেন, আবু শাহাদাত মো: তানভীর ওরফে মেহেদি, ওরফে আবির, ওরফে মুশকিন ও আমিনুল ওরফে আমির হোসেন জেলহাজতে রয়েছে। অপর দু’জন মো: বেল্লাল হোসেন ও ছগির হোসেন ভূঁইয়া ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে।
মামলার বিবরণে প্রকাশ ২০০৭ সালের ১১ এপ্রিল দিবাগত রাত সাড়ে ৮টায় ঝালকাঠির গোরস্থান মসজিদের গেটের সামনে বসেই পিপি অ্যাডভোকেট হায়দার হোসাইনকে জেএমবির এই উগ্রবাদীর কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। হায়দার হোসাইন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করে। তিনি প্রতিদিনের মতো বাসার সামনে এই মসজিদে নামাজ পড়তে আসতেন। পাঁচজন ঘটনা ঘটিয়ে আলাদা হয়ে পালিয়ে যায়। পরে র্যাব এই তিনজনকে বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করে। ঝালকাঠিতে দু’জন বিচারক হত্যর মামলাটি বিচারকালে তিনি পিপি অ্যাডভোকেট হায়দার হোসাইন তৎকালীন পিপি হিসেবে মামলাটি সরকারের পক্ষে পরিচালনা করেন। বিচারক হত্যা মামলায় জেএমবির শীর্ষ নেতাসহ ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড হয়। অ্যাডভোকেট হায়দার হোসাইন জেলাপর্যায়ের জামায়াত নেতা ছিলেন এবং এ মামলা পরিচালনা করায় জেএমবির তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। হত্যা করে তাদের পরিকল্পনা এই ৫ উগ্রবাদী বাস্তবায়ন করে। এর আগে তাকে জেএমবি হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল।
পিপি অ্যাডভোকেট হায়দার হোসাইন হত্যা মামলায় তার ছেলে তারিক ইবনে হায়দার বাদি হয়ে মামলা করেন। মামলায় পাঁচজন কর্মকর্তা তদন্ত করেন এবং সর্বশেষ সিআইডির এসআই মোশাররফ হোসেন ২০১০ সালের ১৭ জানুয়ারি পাঁচজনকে অভিযুক্ত কারে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বরিশালের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২০১০ সালের ১৫ ডিসেম্বর আসামিদের বিরদ্ধে চার্জ গঠন করে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ট্রাইব্যুনাল বিচারকার্যক্রম শেষ না হওয়ায় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালত থেকে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচার শেষ করার জন্য প্রেরণ করা হয়। এই আদালতের তৎকালীন বিচারক মো: আবদুল হালিম ২০১৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ৫৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন।


আরো সংবাদ



premium cement
রাজশাহীতে টানা তাপদাহ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা শরীয়তপুরে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ জামায়াতের এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী নয় : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী নজিরবিহীন দুর্নীতির মহারাজার আত্মকথা ফতুল্লায় ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে নির্মাণকাজ বন্ধ, মারধরে আহত ২, মামলা পার্বত্যাঞ্চলে সেনাবাহিনী: সাম্প্রতিক ভাবনা গফরগাঁওয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে টিকটক করতে গিয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু তানজানিয়ায় বন্যায় ১৫৫ জনের মৃত্যু বাংলাদেশসহ এশিয়ার ৩ দেশে কাতার আমিরের সফরে কী লাভ ও উদ্দেশ্য? মধুখালীর ঘটনায় সঠিক তদন্ত দাবি হেফাজতের ফর্মে ফিরলেন শান্ত

সকল