২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
দুর্নীতির অভিযোগ

ইউজিসির শুনানিতে আসেননি রাবির ভিসি ও প্রোভিসি

-

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভিসি অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান ও প্রোভিসি চৌধুরী মো: জাকারিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে প্রথম দফা শুনানি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের গঠিত তদন্ত কমিটি। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মঞ্জুরি কমিশনের মিলনায়তনে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে ভিসি অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান ও প্রোভিসি অধ্যাপক চৌধুরী মো: জাকারিয়া কেউই উপস্থিত হননি। ইউজিসির তদন্ত কমিটি গঠন করতে হলে ভিসির মর্যাদার একধাপ উপরের পদমর্যাদার সদস্যদের দিয়ে করার কথা জানান ভিসি। যেহেতু ইউজিসির গঠিত তদন্ত কমিটিতে এর ব্যত্যয় ঘটেছে তাই সেখানে তারা উপস্থিত হননি।
শুনানিতে ইউজিসির সদস্য ও তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম ও ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক মু. আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।
অন্য দিকে অভিযোগকারী শিক্ষকদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সফিকুন্নবী সামাদী, ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক মু. আলী আসগর, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক জিন্নাত আরা ও সহকারী অধ্যাপক সোলাইমান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
শুনানিতে উপস্থিত ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোলাইমান চৌধুরী বলেন, ইউজিসি গণশুনানিতে উভয়পক্ষকে ডেকেছিল। সেখানে ত্রিপক্ষীয় শুনানি হবে। কিন্তু প্রশাসনের কেউ উপস্থিত হয়নি। আমরা অভিযোগের দলিলপত্রসহ বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেছি। অভিযোগের প্রমাণসহ ৩০০ পৃষ্ঠার যে অভিযোগপত্র আমরা জমা দিয়েছিলাম, এর বাইরেও কিছু দলিল জমা দিয়েছি।
এ দিকে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য দ্বিতীয় দফা শুনানি হবে।
এর আগে চলতি বছরের গত ৪ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দুর্নীতির তথ্য-উপাত্ত সংবলিত ৩০০ পৃষ্ঠার একটি অভিযোগপত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) দাখিল করেন আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের একাংশ।
অভিযোগপত্রে মোট ১৭টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়। এতে ভিসি অধ্যাপক আব্দুস সোবহান ও প্রোভিসি অধ্যাপক চৌধুরী মো: জাকারিয়ার বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও নিয়োগবাণিজ্য এবং ভিসি কর্তৃক রাষ্ট্রপতিকে ধোঁকা দেয়া ও শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা শিথিল করে ভিসির মেয়ে ও জামাতাকে নিয়োগ, এডহক ও মাস্টাররোলে কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্য, ভিসির বাড়ি ভাড়া নিয়ে দুর্নীতি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট, ১৯৭৩ লঙ্ঘন করে বিভিন্ন বিভাগের সভাপতি নিয়োগ ইত্যাদি অভিযোগ উল্লেখ করা হয়।
পরে প্রধানমন্ত্রীর দফতর ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ইউজিসি অভিযোগগুলো তদন্তে ইউজিসি কর্তৃপক্ষ একটি কমিটি গঠন করে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে কমিটি উভয়পক্ষের বক্তব্য উপস্থাপনে এ উন্মুক্ত ‘শুনানির আয়োজন করেছে।


আরো সংবাদ



premium cement