২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অপহরণ করে ধর্ষণ : ওসি ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বাদি

-

চাকরিজীবী এক নারীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার তিন পুলিশ কর্মকর্তাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বাদি। মামলার পর থেকেই বাদিকে হত্যাসহ নানা ধরনের হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যে কারণে বাদি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে জানান তার আইনজীবী জাকির হোসেন হাওলাদার।
অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন বলেন, গত ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার চার নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক তাবাসুম ইসলামের আদালতে তিন পুলিশসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ট্রাইব্যুনাল ৪ এ নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৭/৮/১০/৩০ ধারায় মামলা করেন ধর্ষিতা ওই নারী। মামলার আসামিরা হলোÑ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন (৫৫), ফার্স্ট ফাইন্যান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তুহিন রেজা (৪০), রাহাত ওরফে ডাকাত রাহাত (৩৫), জি এম সারোয়ার (৫৫), দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) শাহাদাত হোসেন, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আশিকুজ্জামান ও অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ জামান। মামলায় আরো চার-পাঁচজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
পরে ওসিসহ তিন পুলিশ সদস্যকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয় আদালত। এ দিকে অন্য আসামিরা বাদিকে হত্যাসহ নানা ধরনের হুমকি দিয়ে আসছে। বাদি এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এমনকি ওদের ভয়ে মোবাইলফোনও বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছেন ভিকটিম। তিনি আরো বলেন, আগামী ৪ অক্টোবর মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে। ওই সময়ে বাদির বিস্তারিত তথ্য আদালতকে জানানো হবে। এ ছাড়া শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(৩) ধারায় একটি মামলা চলমান রয়েছে। গত ৫ জুলাই গণধর্ষণ মামলার এক নম্বর আসামি ইকবাল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে জামিনে মুক্ত হন তিনি।
মামলার আসামি কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন নয়া দিগন্তকে বলেন, তাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। এ ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না তিনি। তাই আইনের মাধ্যমেই বিষয়টি বোঝাপাড়া হচ্ছে। তিনি বলেন, বাদি মাহমুদাকে কোনো হুমকি তো দূরের কথা তার কাছে কোনো কিছু জানতেও চাইনি বলে জানান তিনি।

 


আরো সংবাদ



premium cement