রাজধানীর ১১, ১৭ ও ৫১ নম্বর ওয়ার্ডে সবচেয়ে বেশি এডিস প্রজনন
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৪ আগস্ট ২০২০, ০০:০০
রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের অধীন তিনটি ওয়ার্র্ডে সবচেয়ে বেশি এডিস, চিকুনগুনিয়া ভাইরাস বাহিত এডিস মশা রয়েছে। ওয়ার্ডগুলো হচ্ছেÑ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১১, ১৭ এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫১ নম্বর ওয়ার্ড। আবার এসব ওর্য়াডের মধ্যে সবচেয়ে বেশি এডিস মশা রয়েছে কল্যাণপুর, পাইকপাড়া, মধ্য পাইকপাড়া, খিলখেত, কুড়িল, নিকুঞ্জ, মীর হাজীরবাগ, দোলাইপাড় ও গেন্ডারিয়া এলাকায়।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের (বিসিপিএস) অডিটোরিয়ামে ডিসেমিনেশন অন মনসুন এডিস সার্ভে শীর্ষক সেমিনারে এসব উপস্থাপন করা হয়। স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও লাইন পরিচালক (সিডিসি) অধ্যাপক ডা: শাহনীলা ফেরদৌসীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজির মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেনÑ এমআইএসের পরিচালক ডা: হাবিবুর রহমান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাবৃন্দ। জরিপের ফলাফল বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিস বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা: আফসানা আলমগীর খান।
গত ১৯ জুলাই থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪১টি এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৯টি এলাকার দুই হাজার ৯৯৯টি ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও জিকা ভাইরাস ভেক্টরের মৌসুম জরিপ পরিচালনা করা হয়।
এসব এলাকায় সবচেয়ে বেশি মশার ভেক্টর পাওয়া গেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কল্যাণপুর, পাইকপাড়া ও মধ্য পাইকপাড়া এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের খিলখেত, কুড়িল ও নিকুঞ্জ এলাকায়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের মীর হাজীরবাগ, দোলাইপাড় ও গেন্ডারিয়া এলাকায়ও মশার ভেক্টর পাওয়া গেছে।
সবচেয়ে বেশি ভেক্টর পাওয়া যায় পানিপূর্ণ পাত্রে ১৫.৬ শতাংশ, প্লাস্টিক ড্রামে ১২.১৭ শতাংশ, প্লাস্টিক বালতিতে ৯ শতাংশ, ব্যবহৃত পরিত্যক্ত টায়ারে ৮.৫২ শতাংশ, ফুলের টবে এবং ট্রেতে ৮.২৭ শতাংশ, পানির ট্যাংকে ৬.০৮ শতাংশ, মাটির পাত্রে ৫.১১ শতাংশ, প্লাস্টিক বোতলে ৩.৬৫ শতাংশ, টিনের বালতিতে ৩.১৬ শতাংশ এবং প্লাস্টিক মগে ২.৯২ শতাংশ।
এডিস মশার প্রজনন স্থানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে বহুতল ভবনে ৫১.৩৪ শতাংশ, নির্মাণাধীন ভবনে ২০.৩২ শতাংশ, বস্তি এলাকায় ১২.৮৩ শতাংশ, একক ভবনগুলোয় ১২.৫৭ শতাংশ এবং পরিত্যক্ত জমিতে ২.৯৪ শতাংশ। আর এসব পাত্রের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫১.৩৪ শতাংশ ছিল বহুতল ভবনে, নির্মাণাধীন ভবনে ২০.৩ শতাংশ, বস্তি এলাকায় ১২.৮৩ শতাংশ, একক ভবনে ১২.৫৭ শতাংশ এবং সবচেয়ে কম পরিত্যক্ত জমিতে ২.৯৪ শতাংশ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা