২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাজশাহীতে সহস্রাধিক ফার্মেসি চলছে হালনাগাদ ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়াই

-

বর্তমানে রাজশাহীতে দুই শতাধিক ফার্মেসির কোনো হদিস মিলছে না। তাদের ঠিকানা খুঁজে পাচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ডাকযোগে রেজিস্ট্রি চিঠি পাঠিয়েছিল ওধুধ প্রশাসন অধিদফতর; কিন্তু ফেরত এসেছে চিঠিগুলো। ফলে এসব ফার্মেসির লাইন্সেস বাতিলের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যদিও এখনো সহস্রাধিক ফার্মেসি চলছে হালনাগাদ ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়াই। তবে লাইসেন্স নবায়ন করতে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ওষুধ প্রশাসনের তথ্যানুযায়ী, রাজশাহীতে মেডিসিন শপ বা ফার্মেসির সংখ্যা তিন হাজারেরও বেশি। এর মধ্যে দুই হাজারের কিছু বেশি ফার্মেসি ড্রাগ লাইসেন্স নবায়ন করেছে। কিন্তু বাকিগুলোর হালনাগাদ লাইসেন্স নেই। এ ছাড়া নবায়ন না করলে লাইসেন্স বাতিলের চিঠি পাঠিয়েও অন্তত দুই শ’ ফার্মেসির কোনো ঠিকানাই পাওয়া যায়নি।
ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের রাজশাহী বিভাগীয় উপপরিচালক মির্জা মো: আনোয়ারুল বাসেদ জানান, লাইসেন্স নবায়নের জন্য তারা ফার্মেসিগুলোর নামে চিঠি ইস্যু করেছিলেন; কিন্তু দুই শতাধিক চিঠি ফেরত এসেছে। এসব ফার্মেসির কোনো ঠিকানা পাওয়া যাচ্ছে না। আরেকদফা এসব ফার্মেসির নামে চিঠি ইস্যু করা হবে। এরপর কোনো সাড়া পাওয়া না গেলে লাইসেন্স বাতিলের উদ্যোগ নেয়া হবে।
ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর সূত্র জানায়, প্রচলিত বিধি না মানায় স্থায়ীভাবে ড্রাগ লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে ৪০টি ফার্মেসির ও সাময়িক বাতিলের সংখ্যা ২৭টি। এ ছাড়া লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে ১৯টি ফার্মেসির।
এ দিকে, লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি ও বিভিন্ন মেডিসিন শপে অবৈধ ওষুধ বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। প্রায় প্রতিদিনই নগরী ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযান যৌথভাবে পরিচালনা করছে জেলা প্রশাসন ও ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর।
রাজশাহী জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র জানায়, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিকে পুঁজি করে সুযোগসন্ধানী কিছু ব্যবসায়ী নকল স্যানিটাইজার ও লেবেলবিহীন ওষুধ বিক্রি করে থাকে। তাই এটি যাতে করতে না পারে সে জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল