২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ

চাঁদাবাজির অভিযোগে কোতোয়ালি ওসিসহ ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

-

ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে এনে রাজধানীর কোতোয়ালি থানার ওসি মিজানুর রহমানসহ পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন পুরান ঢাকার এক কাপড় ব্যবসায়ী। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান নোমানের আদালতে এ মামলাটি করেন কাপড় ব্যবসায়ী সোহেল। ঢাকা মহানগর হাকিম বাদির জবানবন্দী গ্রহণ করে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। পিবিআইয়ের একজন এএসপি পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে তদন্তভার দিতে নির্দেশ দেন আদালত। মামলার অপর আসামিরা হলেনÑ কোতোয়ালি থানার এসআই পবিত্র সরকার (৪২), খালিদ শেখ (৪৫), এএসআই শাহিনুর রহমান (৪২), কনস্টেবল মো: মিজান (৫২) ও সোর্স মোতালেব।
মামলায় দণ্ডবিধি ৪২০/৪০৬/৫০৬/১০৯/৩৪/৩৮৫/৩৮৬/৩৪৭ ধারাসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫(১)(ক)(খ) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় ওসিসহ সবার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানানো হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বাদি সোহেল মীর বলেন, ঈদের পরদিন ২ আগস্ট বিকেল ৪টার দিকে বুড়িগঙ্গা নদী পার হয়ে কোতোয়ালী থানার ওয়াইজঘাট এলাকায় নেমে আম্বিয়া টাওয়ার সংলগ্ন প্রধান সড়কের উপর উঠামাত্র পাঁচ আসামি তাকে ঘিরে ধরে তল্লাশি শুরু করেন। তল্লাশি করে তার পকেটে থাকা ২৯০০ টাকা নিয়ে নেন। এরপর পুলিশ তাকে চলে যেতে বলে। তখন বাদি টাকা ফেরত চাইলে তাকে চড়-থাপ্পড় মারেন। এরপর আসামিরা (পুলিশ) উপস্থিত লোকজনদের বলেন, সে জেএমবির মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। এরপর তারা টানাহেচড়া শুরু করেন। লোকজন আরো বাড়তে থাকলে একপর্যায়ে আসামিরা বাদির পকেটে ২১৪ পিস ইয়াবা পাওয়া গেছে বলে ছবি তোলেন। এরপর আসামিরা তাকে টেনেহেচড়ে থানায় নিয়ে হাজতে ঢুকিয়ে রাখেন। এরপর আসামি খালেদ বাদিকে পরিবারের সদস্যদের খবর দিতে বলেন। বাদি খবর পৌঁছে দিলে পরিবারের সদস্যরা সেখানে গিয়ে বাদির সাথে দেখা করে ঘটনা জানতে পারেন। এরপর তারা আসামিদের সঙ্গে দেখা করলে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। তা না দিলে জেএমবি সদস্য ও মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে জেলে পাঠানোর হুমকি দেন। টাকা দিলে সাধারণ ধারায় বাদিকে চালান দেবেন বলে জানান। এরপর বাদির পরিবার নিরূপায় হয়ে রাত সাড়ে ১০টায় আসামি পবিত্র ও খালেদের কাছে দুই লাখ টাকা দেন। পরদিন ধারদেনা করে আরো এক লাখ ৫০ হাজার টাকা সকাল ৮টায় পৌঁছে দেন। টাকা দেয়ার পর বাদির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, মিটফোর্ড হাসপাতালের ভেতরে তিনি মাদক সেবন করছিলেন এবং শিক্ষার্থীদের বিরক্ত করছিলেন। ১০০ ধারায় তার বিরুদ্ধে নন এফআইআর করে আসামিরা আদালতে পাঠান। এরপর আসামিরাই তাকে আদালত থেকে মুক্ত করেন। ছেড়ে দেয়ার সময় হুমকি দেন যে, ঘটনা কাউকে বললে পরবর্তী সময়ে ধরে নিয়ে ক্রসফায়ারে দেয়া হবে।
মামলার বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আমি মামলার বিষয়টা শুনেছি। আমি কোথায় চাঁদা দাবি করেছি তা তো বলতে পারছি না।

 


আরো সংবাদ



premium cement