১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পদ্মার অব্যাহত ভাঙনে শিমুলিয়া কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে অচলাবস্থা

-

পদ্মার অব্যাহত ভাঙনের কবলে পড়ে ইতোমধ্যে শিমুলিয়ার চারটি ফেরি ঘাটের মধ্যে দু’টিই নদীতে বিলীন হয়েছে। এ ছাড়াও ভাঙন আতঙ্কে ঝুকির মধ্যে রয়েছে ২ নম্বর ফেরি ঘাট এলাকাসহ বিআইডব্লিউটি ও টিসির স্থাপনা। প্রথম দফা ভাঙনে বিলীন হয় ৩নম্বর রোরো ঘাট ও দ্বিতীয় দফা ভাঙনে ৪ নম্বর ঘাটটি নদীতে বিলীন হয়। এ দিকে আব্যাহতভাবে ফেরি ঘাটগুলো নদী ভাঙনের কবলে পড়ায় শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ী নৌরুটে ফেরি চলাচলে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। আর এতে করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২১ জেলার কর্মস্থলে ফেরা লক্ষাধিক মানুষ নানা দুভোগ ও ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে। অনেকেই যানবাহনসহ এ নৌরুট পাড়ি না দিতে পেরে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট ব্যবহার করছে।
এ দিকে দু’টি ঘাট ভাঙনের কবলে পড়ায় মাত্র দু’টি ঘাট দিয়েই ফেরি চলাচল করছে। যার ফলে একবার ফেরি কাঠালবাড়ী ঘাটে চলে গেলে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টার মধ্যে কোনো ফেরি পাওয়া যায় না। ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ সামাল দেয়ার জন্য এ নৌরুটে ৮৭টি লঞ্চ, প্রায় তিন শতাধিক সি-বোট ও ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে ১২টি কোম্পানির প্রায় পাঁচ শতাধিক যাত্রীবাহী বাস চলাচল করলেও কিছুতেই কমছে না যাত্রীদের চাপ। এ সুযোগে এক শ্রেণীর অসাধু লঞ্চ মালিক, বাস মালিক ও শ্রমিকরা করোনাকালীন সময়ও গাদাগাদি ও ঠাসাঠাসি করে যাত্রী বহন করছে। এর ফলে চরমভাবে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করা হচ্ছে এ ঘাটের ফেরিতে, লঞ্চে ও বাসে। বাস র্টামিনালে এ ব্যাপারগুলো দেখভাল করার জন্য ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের কাজ করার কথা থাকলেও তারা সময় পাড় করছে ফেরিঘাটের গাড়ির সিরিয়াল নিয়ে। অথচ নিয়ম অনুযায়ী ফেরি ঘাটের সিরিয়ালের জন্য বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ ১০ জন আনসার সদস্য মোতায়ন করলেও তাদের কোনো কাজ করতে দেয় না ট্রাফিক পুলিশ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিআইডব্লিউটিসির একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জানান, কথিত রয়েছে বিআইডব্লিউটিসির এজিএম সফিকুল ইসলাম ও টিআই হিলাল এক সময়ে একসাথে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটে ছিল সে থেকেই এমন সখ্য। তবে ফেরি ঘাটে ট্রাফিক পুলিশের হস্তক্ষেপের কারনে টিসি ও আনসার সদস্যসহ এ নৌরুটে নিয়মিতভাবে যাতায়াতকারী পরিবহন চালকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ দিকে ট্রাফিক পুলিশের এমন হস্তক্ষেপের কারনে জরুরি পরিসেবার অনেক যানবাহন অন্য রুট ব্যবহার করছে বলে চালকরা জানান। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে কথা হয় মাওয়া ঘাটের ট্রাফিক পুলিশের টিআই হিলাল উদ্দিনের সাথে। তিনি বলেন, আমরা কোনো অযাজিত হস্তক্ষেপ করি না। আমাকে ঘাট থেকে উঠিয়ে দিলে দিক তাতে কিছুই হবে না। ভাঙন রোধের জন্য গতকাল থেকেই বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলছে। এ ব্যাপারে বিআইডব্লিইটিএর সহকারী প্রকৌশলী আবু দাউদ জানান, প্রতিদিনই সাড়ে ৩০০ লেবার কাজ করছে। গতকাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার বস্তা ফেলা হচ্ছে ভাঙনকবলিত ঘাটগুলোতে। বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার সাফায়েত আহম্মেদ জানান, বর্তমানে তিনটি রোরো, তিনটি কেটাইপ ও দু’টি ছোটসহ মোট আটটি ফেরি চলাচল করছে।


আরো সংবাদ



premium cement