গৃহায়ন ও গণপূর্ত অধিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৮ আগস্ট ২০২০, ০০:৫১
অনিয়মের অভিযোগে এক সময় সাময়িক বরখাস্ত হওয়া গৃহায়ণ ও গণপূর্ত অধিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ঢাকা মেট্রোপলিটন জোন) প্রদীপ কুমার বসুর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুর্নীতির অভিযোগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও ফের চাকরিতে যোগ দিয়েছেন তিনি। প্রদীপ কুমার বসু খুলনা জোন থেকে সম্প্রতি গণপূর্ত অধিদফতরের ঢাকা মেট্রোপলিটন জোনে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে যোগ দিয়েছেন।
প্রদীপ কুমার বসুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, গোপালগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগে কর্মরত থাকার সময় শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান নির্মাণ প্রকল্পের বাউন্ডারি ওয়াল, মাটি ভরাট, ভবনের ছাদ, ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, রিজার্ভ ব্যাংকের কাজ অপূর্ণ রেখেই ঠিকাদারদের বিল প্রদান এবং প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেননি। এই অভিযোগে মন্ত্রণালয় থেকে গত ২০১৬ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তাকে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয়। এমনকি এসব অভিযোগের কারণে তাকে এক বছরের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তা ছাড়া তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার কারণে একটি বিভাগীয় মামলাও করা হয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তিনি আবার চাকরি ফিরে পান। অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে যোগ দিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে। যেখানে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন, রাষ্ট্রীয় গণভবন, বঙ্গভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। তিনি যোগদানের পর থেকে গণপূর্ত অধিদফতরে নানা গুঞ্জন চলছে।
অভিযোগ রয়েছে, প্রদীপ কুমার বসু খুলনা গণপূর্ত জোনে থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। একটি বড় কোম্পানির সাথে আঁতাত করে তিনি শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। এসব সম্পদ স্ত্রী-সন্তানের নামে করেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার বসুর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একটি মহল তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। সাময়িক বরখাস্তের ব্যাপারে তিনি বলেন, কাজ মনিটরিংয়ে গাফেলতির জন্য তাকে সাসপেন্ড করা হলেও কয়েক মাস পর তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিভাগীয় মামলাও পরে প্রত্যাহার হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা