২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

নিম্ন আদালতের কার্যক্রম শুরু হলেও স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না কেউ

-

নিম্ন আদালতের কার্যক্রম শুরু হলেও স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীরা। চার মাস ১০ দিন পর আদালতের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ ছিল আদালত। আদালতে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীরা আসা-যাওয়া শুরু করেছেন। তবে বেশির ভাগ আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থী স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। আদালতে প্রবেশের সময় পরীক্ষা করা হয় না তাপমাত্রা। বেশির ভাগ আদালতে নেই জীবাণুনাশক স্প্রে। এতে আতঙ্কিত সংশ্লিষ্টরা।
গত দুই দিন আদালত এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের (সিএমএম) প্রবেশ পথে নেই জীবাণুনাশক স্প্রে। নেই তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র। অনেকের মুখে নেই মাস্ক। সামাজিক দূরত্বের বিধিনিষেধ মানছেন না অনেকেই।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সাথে আলোচনা করে নিয়মিত আদালতের বিচার কার্যক্রম শুরু করার বিষয় সিদ্ধান্ত নেন। গত ৩০ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো: আলী আকবর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিম্ন আদালতে স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে সবাইকে হাইকোর্ট বিভাগের পক্ষ থেকে ৩০ জুলাই জারিকৃত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আদালত প্রাঙ্গণ ও এজলাস কক্ষে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত নির্দেশনা মানতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আদালতে উপস্থিত থাকতে হবে।
আইনজীবী মাসুম আহমেদ বলেন, লকডাউনের কারণে মামলার তারিখ কজলিস্টে উঠানো সম্ভব হয়নি বলে বিভিন্ন কোর্টে পেশকাররা আমাকে জানান। তিনি বলেন, কোনো আদালতেই সেনিটাইজেশন ব্যবস্থা রাখা হয়নি। হাইকোর্টের নির্দেশনা মানা হচ্ছে না। বিশেষ করে আদালতের পেশকার, পিয়ন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফাইল নাড়াচাড়া করছে। এদের কারোও মাস্ক নেই। আদালতের এজলাসের সামনে গ্লাস, ছাড়া অন্য কোনো প্রটেকশন দেখা যায়নি।
আইনজীবী এ কে এম ফজলুল হক বলেন, নিম্ন আদালত খুলে দেয়ার পর আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের উপস্থিতি খুবই কম। পরিবেশ স্বাভাবিক হতে আরো সময় লাগবে। তবে বেশির ভাগ আইনজীবী বিচারপ্রার্থীদের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি।
আইনজীবী শেখ আতিকুর রহমান আতিক বলেন, আদালত এখনো আগের অবস্থাতে আসেনি। সবার মধ্যে এখনো আতঙ্ক কাজ করছে। তবে অনেক আইনজীবী করোনার কারণে আর্থিকভাবে নিঃস্ব হয়েছেন। যারা কারো কাছে হাত পাততে বা সাহায্য চাইতে পারে না তাদের দুঃখের কথা কেউ শুনছেন না। আমার বিশ্বাস বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইনজীবীদের বিষয়গুলো ভেবে দেখে এ করোনাকালীন সময়ে আইনজীবীদের প্রত্যেককে ন্যূনতম তিন লাখ টাকা করে অনুদান দিলে অনেকটা তাদের কষ্ট লাগব হবে। তিনি বলেন-আদালতে খুলে দেয়ার পর আইনজীবী বিচারপ্রার্থীদের উপস্থিতি কম হলেও যখন তাদের উপস্থিতি বেড়ে যাবে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন।


আরো সংবাদ



premium cement