২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

চট্টগ্রামের পশুর হাটে শেষ মুহূর্তে ক্রেতা সমাগম

-

শেষ মুহূর্তে তুলনামুলক ক্রেতা সমাগম এবং বিক্রি উভয়ই বেড়েছে চট্টগ্রামের কোরবানির পশুর হাটগুলোতে। কোরবানির ঈদের আর মাত্র আজকের দিনটি বাকি থাকলেও এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামের হাটে পশু বিক্রির ধুম পড়েনি। এর মধ্যে আবার ক্রেতারা কোরবানির পশুর অতি মূল্য হাঁকানোর অভিযোগও করেছেন। অবশ্য আশাবাদী বিক্রেতারা বলছেন হয়তো শেষ মুহূর্তে কেনার অপেক্ষায় আছেন বেশির ভাগ ক্রেতা। আবার কেউ কেউ বলছেন, মানুষের আয় কমে যাওয়াতে টাকার সঙ্কটে অনেকেই এবার কোরবানি দিতে পারছেন না। ফলে বাজারে ক্রেতার সঙ্কট বিরাজ করছে।
চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন প্রান্তে এবার মোট সাতটি পশুর হাট বসেছে। তিনটি স্থায়ীসহ সাতটি পশুর হাটে গত বৃহস্পতিবার থেকে পশু বিকিকিনি শুরু হয়েছে। স্থায়ী হাটগুলো হচ্ছে- সাগরিকা পশুর বাজার, বিবিরহাট গরুর হাট ও পোস্তারপাড় ছাগলের বাজার। অস্থায়ী চারটি বাজার হচ্ছে- কর্ণফুলী হাট, সল্টগোলা রেল ক্রসিং হাট, পতেঙ্গা বাটারফ্লাই পার্কসংলগ্ন গরুর বাজার ও কমল মহাজন হাট।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসব হাটে গরু নিয়ে আসছেন। তবে ইজারাদাররা বলছেন, উত্তরবঙ্গের যেসব স্থান থেকে চট্টগ্রামে গরু আসত এ বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে অর্ধেকও আসেনি। গত সপ্তাহের মাঝামাঝি সময় থেকে নগরীর স্থায়ী-অস্থায়ী পশুরহাটগুলোতে কুষ্টিয়া, মাগুরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ফরিদপুর, নাটোর, রাজশাহী ও কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে গরু আসতে শুরু করে। এর মধ্যে আবার অন্যান্য বছর চট্টগ্রামের হাটে রাজশাহী ও মাগুরা থেকে সর্বোচ্চসংখ্যক পশু এলেও এবার নগন্য সংখ্যক গরু এসেছে বলেও ইজারাদারদের দাবি। অবশ্য জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে চট্টগ্রামের চাহিদার ৯৫ শতাংশই স্থানীয়ভাবে পূরণ হবে। বাজারে ক্রেতা তুলনামূলক কম। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, কোরবানি ঈদের আর মাত্র একদিন বাকি থাকলেও পশুরহাটগুলো এখনো সেভাবে জমে উঠেনি। তবে বাজার সংশ্লিষ্টদের আশা গতকাল ও আজ বিক্রি বাড়বে এবং অনেকেই শেষ দিনে কেনার অপেক্ষায় আছেন। বাজারে মাঝারি বা ছোট আকারের গরুর চাহিদা সর্বাধিক, তবে বড় সাইজের গরুও চাহিদাও কম নয়।
মাগুরা থেকে বিবিরহাটে হাটে ৬০টি হরিয়ানা ও সিন্দি জাতের গরু নিয়ে এসেছেন বেপারি নরুল জোয়ার্দ্দারের নেতৃত্বাধীন একটি গ্রুপ। এখন পর্যন্ত বেশির ভাগ গরুই বিক্রি করতে পারেননি জানিয়ে তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, গত ১০ বছর ধরে চট্টগ্রামে গরু নিয়ে আসি। কিন্তু এবারের পরিস্থিতিতে পড়িনি।
বিবিরহাট গরুর বাজারের ইজারাদার আরিফুল ইসলাম বলেন, বিক্রি আগের চেয়ে বেড়েছে। লোকজনও প্রচুর আসছেন। অনেকেই শেষ মুহূর্তের অপেক্ষায় আছেন। বৃহস্পতিবার থেকে বাজার জমজমাট হয়ে উঠেছে এবং বেচাবিক্রিও বাড়বে এমনটি আশা তার। বাজারে মাঝারি সাইজের গরু বেশি বিক্রি হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

 


আরো সংবাদ



premium cement

সকল