১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কাস্টমস গুদাম থেকে মেমোরি কার্ড গায়েব

৪০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি
-

সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পরও হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কাস্টমসের গোডাউন থেকে গায়েব হওয়া দুই লাখ ১০ হাজার পিস মেমোরি কার্ড এখনো বুঝে পাননি ব্যবসায়ী মামুন হাওলাদার। প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের মেমোরি কার্ডের চালানটি ফেরত পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তিনি। সর্বশেষ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দফরে লিখিত অভিযোগে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৪০ কোটি টাকা দাবি করেছেন এই ভুক্তভোগী।
জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১১ জুন হংকং থেকে দুই লাখ ১০ হাজার পিস মেমোরি কার্ড আমদানি করেন মামুন হাওলাদার। তখন মাল খালাসের জন্য শুল্ক পরিশোধের আগ পর্যন্ত চালানটি জিম্মায় নেয় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। চালানটি সংরক্ষণ করা হয় বিমানবন্দরে সংরক্ষিত গোডাউনে। যেখানে আটককৃত স্বর্ণসহ অন্যান্য মূল্যবান জিনিসও রাখা হয়। শুল্ককর পরিশোধসাপেক্ষে ২১ দিনের মধ্যে চালানটি খালাসের কথা উল্লেখ করে রশিদও দেয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। কিন্তু নির্ধারিত শুল্ক পরিশোধ করে নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও মাল খালাসে টালবাহানা শুরু করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। একপর্যায়ে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে রিট পিটিশন করেন মামুন হাওলাদার। আদালত ২০১৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি আবেদন নিষ্পত্তি করে মামুনের পক্ষে আদেশ দেন। পরে গোডাউন থেকে মাল আনতে গিয়ে মামুন দেখেন তার লাগেজ কাটা ও খোলা। ভেতরের সব মেমোরি কার্ডও গায়েব। সুরক্ষিত এ গোডাউন থেকে মাল গায়েবের ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
মামুনের অভিযোগের পর তদন্ত কমিটি গঠন করে ঢাকা কাস্টমস হাউজ কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, সেই তদন্তে পাওয়া যায় বিমানবন্দর কাস্টমসের গোডাউন থেকে মূল্যবান মেমোরি কার্ডগুলো গায়েব করে ফেলেন তৎকালীন গোডাউন কর্মকর্তা হারুন আর রশিদ। তার সাথে বাইরের একটি অসাধু সিন্ডিকেটও জড়িত ছিল। তদন্তে হারুন অর রশিদকে অভিযুক্ত করে একটি প্রতিবেদনও দেয়া হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না ভুক্তভোগী মামুন। তিনি জানান, প্রায় চার বছরেরও বেশি সময় ধরে তার মাল আটকে রাখা হয়েছে। এতে তিনি আর্থিক ও সামাজিকভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন। সে জন্য সরকারের কাছে ৪০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ এবং অসাধু এ চক্রের কঠিন শাস্তি চেয়ে একাধিক আবেদন করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কাস্টমস হাউজ কমিশনার মো: মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, তদন্তে কাস্টমসের তৎকালীন কয়েকজন কর্মকর্তা ও একজন বহিরাগতের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।


আরো সংবাদ



premium cement