প্রতিবেদনে বিমান ও কাস্টম কর্মচারীর নাম উঠে এসেছে
শাহজালাল বিমানবন্দর কার্গো থেকে এন-৯৫ মাস্ক চুরি- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৬ জুলাই ২০২০, ০০:০০
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কার্গো গোডাউন থেকে তমা গ্রুপের আমদানি করা এন-৯৫ মাস্ক চুরির ঘটনায় তদন্ত কমিটি বিমান এবং কাস্টম হাউজের ১০ কর্মচারীর জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
গতকাল বিকেলে বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এ ঘটনার তদন্ত করা হয়েছে। ভিডিওফুটেজে চুরির পুরো ঘটনা দেখা গেছে। কাস্টম ও বিমানের যেসব কর্মচারী জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে।
জানা যায়, গত ১০ জুন তমা গ্রুপ কেন্দ্রীয় ওষুধাগারের জন্য বিদেশ থেকে এক লাখ ৮০০ পিস এন-৯৫ মাস্ক আমদানি করে। ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টম সম্পন্ন করে ৪টি কার্টনে আসা মাস্কগুলো গাড়িযোগে কেন্দ্রীয় ওষুধাগারে (সিএমএসডি) গোডাউনে নিয়ে যায়। মাস্কগুলো বুঝিয়ে দেয়ার সময় একটি কার্টনে ৬০ পিস মাস্ক কম পাওয়া যায়। পরে কেন্দ্রীয় ওষুধাগার সংশ্লিষ্টরা মাস্কগুলো গ্রহণ না করে দোষ চাপায় তমা গ্রুপের ওপর এবং এগুলো ফেরত পাঠায়। পরে এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় ওষুধাগার থেকে চিঠি দিয়ে এর ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।
তমা গ্রুপ এমন অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার পর নিজস্বভাবে তদন্ত শুরু করে। তদন্তে বিমানবন্দর থেকেই মাস্ক চুরির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর সুষ্ঠু তদন্তের জন্য বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমানের কাছে ১৩ জুন অভিযোগ করেন। উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি সপ্তাহব্যাপী তদন্ত শেষে কর্তৃপক্ষের কাছে দুই দিন আগে প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদনে উঠে আসে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে মাস্ক চুরির সাথে জড়িত কর্মচারীদের নামের তালিকা।
গতকাল রোববার বিকেলে তমা গ্রুপের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক নয়া দিগন্তকে বলেন, এ ঘটনায় আমরা সামাজিক ও ব্যবসায়িকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। মাস্ক চুরি হয়েছে বিমানবন্দরে আর দোষ দেয়া হয়েছে আমাদেরকে। যারা চুরির ঘটনার সাথে জড়িত সঠিক তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিত। আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় মাস্ক চুরির ঘটনায় বিমানের কার্গো শাখার কর্মকর্তাদের মধ্যে কারা কারা জড়িত, তাদের বিষয়ে জানতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি টেলিফোন ধরেননি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা