২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

প্রথম স্বর্ণের চালান আনল ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড কমতে পারে দাম

-

স্বাধীনতার ৪৮ বছরের ইতিহাসে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে ২০১৮ সালে এ দেশের জুয়েলারি শিল্পের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ স্বর্ণ নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়, যা স্বর্ণ নীতিমালা ২০১৮ নামে পরিচিত। এ জন্য জুয়েলারি ইতিহাসে প্রধানমন্ত্রীর নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের জুন মাসে স্বর্ণমেলার আয়োজন করা হয়, যা সাধারণ জুয়েলার্সদের রক্ষাকবচ বলে বিবেচিত। স্বর্ণ নীতিমালায় দেশীয় শিল্পের বিকাশ ও রফতানিবাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য স্বর্ণ আমদানির জন্য গোল্ড ডিলার নিয়োগের বিধান রাখা হয়।
বিধি মতে, গোল্ড ডিলার নিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৯ সালের মার্চ মাসে সার্কুলার জারি করে। এই সার্কুলারে আনুমানিক ৫০টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক আবেদন করলেও সব শর্ত পূরণ না হওয়ায় মাত্র একটি ব্যাংক ও ১৮টি প্রতিষ্ঠানকে নবায়নযোগ্য দুই বছরমেয়াদি লাইসেন্স প্রদান করা হয়। কিন্তু বিদ্যমান শুল্ক জটিলতার কারণে লাইসেন্স পাওয়ার ছয় মাসের মধ্যেও কোনো প্রতিষ্ঠান স্বর্ণ আমদানিতে আগ্রহ প্রকাশ করেনি। সর্বশেষ (২০২০-২০২১) মেয়াদের বাজেটে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমদানিপর্যায়ে স্বর্ণে ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়।
ফলে চলতি বছরের ১০ জুন ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড তাদের গোল্ড ডিলারশিপের অনুকূলে ১১ হাজার গ্রাম পাকা স্বর্ণ আমদানির জন্য আবেদন করে। আবেদনটি যাচাই-বাছাই করে বাংলাদেশ ব্যাংক অনাপত্তি প্রদান করলে দেশের ইতিহাসে পূর্ণাঙ্গ স্বর্ণ নীতিমালার বিধান অনুসরণ করে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড গত ৩০ জুন স্বর্ণ আমদানি করে। অ্যামিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ বিমান স্বর্ণের চালানটি নিয়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে, ফলে এ দেশের ইতিহাসে একটি সোনালি অধ্যায়ের শুভ সূচনা হলো। এর আগে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশে প্রথম ও একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে আইএম ৪-এর মাধ্যমে রাফ বা অমসৃণ ডায়মন্ড আমদানি করে কাটিং ও পলিশিং করে পলিশড ডায়মন্ড বিদেশে রফতানি করে। এ সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এফবিসিসিআই’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, আমি ও আমার প্রতিষ্ঠান সব সময়ে চেষ্টা করি আমাদের সেরাটি উপহার দিতে। প্রথম বা দ্বিতীয় হওয়ার জন্য নয়। আমি এই অজর্নের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট-এফবিসিসিআই ও বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে। এর ফলে এ দেশের জুয়েলারি ইতিহাসে একটি সোনালি অধ্যায় যুক্ত হলো। আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি জুয়েলারি শিল্পে আমাদের যে ঐতিহ্য ও সক্ষমতা রয়েছে তাতে আমরা অতি অল্প সময়ের মধ্যে বিশ্ববাণিজ্যে নেতৃত্ব দিতে পারব যদি আমার মতো সবাই এগিয়ে আসে। বিজ্ঞপ্তি।

 


আরো সংবাদ



premium cement