১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সারা দেশে আউশের রেকর্ড আবাদ

-

সারা দেশে রেকর্ড পরিমাণ আউশের আবাদ হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে আউশ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ছিল ১৩ লাখ ২৯ হাজার ৬০০ হেক্টর জমি; কিন্তু মন্ত্রণালয়ের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৫৬৬ হেক্টর জমিতে আউশ চাষ হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ হাজার ৯৬৬ হেক্টর বেশি। কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, গত বছরের তুলনায় এ বছর ২ লাখের বেশি হেক্টর জমিতে আউশ আবাদ বেড়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১১ লাখ ৩৪ হাজার হেক্টর জমিতে আউশ চাষ হয়েছিল। উৎপাদন হয়েছিল ৩০ লাখ ১২ হাজার মেট্রিক টন। এ বছর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৬ লাখ ৪৪ হাজার ৮০০ মেট্র্রিক টন। ফলে আশা করা হচ্ছে, গত অর্থবছরের চেয়ে এবার আউশ উৎপাদন কয়েক লাখ টন বাড়বে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈশ্বিক মহামারী করোনার প্রভাবে সম্ভাব্য খাদ্যসঙ্কট মোকাবেলা করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী অনাবাদি না রেখে সব জমিতে ফসল ফলাতে কাজ করছে কৃষি মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে করোনাভাইরাসের দুর্যোগের মাঝেও লক্ষ্যমাত্রার অধিক বোরো ফসল সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। এখন আউশ ও আমন উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রচেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে মাঠপর্যায়ে আউশ ধানবীজ, আমন ধানবীজ, পাটবীজ, সার, সেচসহ বিভিন্ন প্রণোদনা কৃষকের মাঝে সুষ্ঠুভাবে বিতরণ করা হয়েছে।
আউশ আবাদ বৃদ্ধির জন্য ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৪৩৪ জন কৃষককে কৃষি প্রণোদনার আওতায় বীজ ও সার এবং ৮২ হাজার ৪০০ জনকে বীজসহ মোট ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৮৩৪ জন কৃষককে সরকারি সহায়তা হিসাবে কৃষি উপকরণ দেয়া হয়েছে। মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা করোনার দুর্যোগের মাঝেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কৃষকের পাশে থেকে আউশ আবাদে উদ্বুদ্ধ ও সহায়তা করেছেন। পাশাপাশি যথাসময়ে বৃষ্টিপাত হওয়ায় আবহাওয়া আবাদের অনুকূলে ছিল এবং বোরো ধানের ভালো দাম পাওয়ায় কৃষক ধান চাষে আগ্রহী হয়েছেন।
এ ছাড়াও ২০২০-২১ অর্থবছরে আমন আবাদের প্রস্তাবিত লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৫৯ লাখ হেক্টর ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১ কোটি ৫৬ লাখ মেট্রিক টন চাল। আমন উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কম ফলনশীল জাতের আবাদ কমিয়ে আধুনিক ও উফশি জাতের সম্প্রসারণ এবং হাইব্রিড জাতের এলাকা বৃদ্ধির কার্যক্রম চলছে। এর সাথে মানসম্পন্ন বীজের প্রাপ্যতা নিশ্চিতকরণ, সুষম সারের নিশ্চয়তা, পর্যাপ্ত সেচের ব্যবস্থা, সেচ খরচ হ্রাসকরণের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
আমনে উৎপাদন বাড়াতে এবারই সরকার প্রথম বীজে ভর্তুকি প্রদান করেছে। কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে বিএডিসি’র ১৯ হাজার ৫০০ মে. টন আমন ধানবীজ চাষিপর্যায়ে বিক্রয়ের জন্য ২০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়া হয়েছে। বিএডিসি তাদের ঘোষিত নির্ধারিত বিক্রয়মূল্যের চেয়ে কেজিপ্রতি ১০ টাকা কম দামে উফশী আমন ধানবীজ ও হাইব্রিডের ক্ষেত্রে কেজিপ্রতি ৫০ টাকা কম দামে চাষিপর্যায়ে বীজ বিক্রি করেছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement