২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশী হত্যা

মানবপাচার চক্রের আরো দুই সদস্য গ্রেফতার

-

লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশীকে হত্যার ঘটনায় মানব পাচারের চক্রের আরো দুই সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গত বুধবার রাত ১০টায় তাদেরকে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়।
আটককৃতরা হলোÑ গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার লোহাইড় গ্রামের মৃত রত্তন শিকদারের ছেলে সেন্টু শিকদার (৪৫) ও একই উপজেলার যাত্রাবাড়ি এলাকার আবদুর রব মণ্ডলের স্ত্রী নার্গিস বেগম (৪০)। তাদেরকে নিজ নিজ গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-৮, সিপিসি-২-এর কোম্পানি অধিনায়ক দেবাশীষ কর্মকার জানান, গ্রেফতারকৃতরা বিদেশে মানব পাচারকারী চক্রের অন্যতম সদস্য। তাদের মধ্যে সেন্টু শিকদারের ভাই বশির শিকদার ও সেলিম শেখ (৩৫) লিবিয়ায় থাকে। তাদের নেতৃত্বে লিবিয়ার বন্দিশালায় পাচারকৃত বাংলাদেশী যুবকদেরকে অর্ধাহারে-অনাহারে রেখে নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে এ দেশে থাকা বিদেশগামীদের পরিবার আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে মুক্তিপণের নামে মোটা অঙ্কের টাকা অদায় করা হয়।
তিনি জানান, দীর্ঘ দিন ধরে একটি আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী চক্র ইতালিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মোটা অঙ্কের বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মানব পাচার করছে। এই চক্রের সদস্যরা বাংলাদেশ, লিবিয়া ও ইতালিতে সমানভাবে সক্রিয়। তাদের শিকার মূলত মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের উঠতি বয়সের বেকার যুবকরা। তারা বাংলাদেশ থেকে প্রাথমিকভাবে যুবকদের লিবিয়ায় পাচার করে থাকে। এরপর লিবিয়ায় অবস্থানরত চক্রের সদস্যরা বিদেশগামীদেরকে বন্দিশালায় আটক রেখে বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে এবং ওই বন্দীদের নিকটাত্মীয়দের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। টাকা পেলে তাদেরকে লিবিয়া থেকে নৌকায় অবৈধ পন্থায় ইতালিতে গমনের সুযোগ করে দেয়া হয়। ক্ষেত্র বিশেষে বন্দীপ্রতি ওই চক্রটি পাঁচ থেকে দশ লাখ টাকা পর্যন্ত মুক্তিপণ আদায় করে বলে র্যাব জানতে পারে।
গ্রেফতারকৃত নার্গিসসহ বাংলাদেশে অবস্থানরত পাচারকারীরা ভিকটিমদের নিকটাত্মীয়দের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করে বলে র্যাবের এই অধিনায়ক জানান। তাদের বিরুদ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ অনুাযায়ী মামলা দায়ের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ মে লিবিয়ার মিজদা শহরে ২৬ বাংলাদেশীকে গুলি করে হত্যা করে আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী চক্রের এক হোতা। নিহতদের মধ্যে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বল্লভদী গ্রামের আলমপুর গ্রামের কবির শেখের ছেলে কামরুল ইসলাম (২৫) নামে এক যুবক রয়েছে। এ ঘটনার পর কামরুল শেখ পাচারের ঘটনায় জড়িত ছয়জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন কামরুলের বাবা। পুলিশ ওই মামলায় আসামি হিসেবে গত মঙ্গলবার এনামুল হক গাজী (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে।


আরো সংবাদ



premium cement
গাজাবাসীর প্রধান কথা- ‘আমাদের খাবার চাই’ অধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশপ্রেমিক জনতার ঐক্যের বিকল্প নেই : ডা: শফিকুর রহমান সোনাগাজীতে জামাতে নামাজ পড়ে বাইসাইকেল পুরস্কার পেল ২২ কিশোর গফরগাঁওয়ে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা : আমিনুল লিবিয়ায় নিয়ে সালথার যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ১ মনুষ্য চামড়ায় তৈরি বইয়ের মলাট সরানো হলো হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আওয়ামী লীগকে বর্জন করতে হবে : ডা: ইরান আমরা একটা পরাধীন জাতিতে পরিণত হয়েছি : মেজর হাফিজ তরুণীর লাশ উদ্ধারের পর প্রেমিকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা ভিয়েনায় মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্রদূতদের ইফতারে ইসলামিক রিলিজিয়াস অথোরিটি আমন্ত্রিত

সকল