২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

টার্মিনালে ও সড়ক-মহাসড়কে চাঁদা উত্তোলন করা যাবে না

-

চাঁদাবাজি সড়ক পরিবহন খাতকে বিশৃঙ্খল করে তুলেছে। আমরা সুস্পষ্ট ঘোষণা করছি, গতকাল ৩১ মে থেকে গণপরিবহন চালু হয়। ওই সময় থেকে সড়ক পরিবহন সেক্টরে, টার্মিনালে, সড়কে বা অন্য কোথাও কোনো ধরনের চাঁদা উত্তোলন করা যাবে না। শুধু সরকার অনুমোদিত নিজ নিজ সংগঠনের গঠনতন্তের বিধান অনুযায়ী, নিজ নিজ মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সদস্যদের কাছ থেকে চাঁদা নিজ নিজ অফিস থেকে সংগ্রহ করবে। আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি বিধান লঙ্ঘনকারী ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংগঠন আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দুই দিন আগে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ বাস ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতি যৌথ বৈঠক করে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বাস ট্রাক টার্মিনাল, সড়ক-মহাসড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে সরকারের সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে গতিশীল করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ ৬৬ দিন পর সীমিত আকারে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালু করার ঘোষণা একটি সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত বলে আমরা মনে করি এবং এ জন্য আমরা তাকে স্বাগত জানাই। নেতৃবৃন্দ বলেন, সড়ক পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি বন্ধ ও সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারকে বারবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু আজো তা পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।
যৌথ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বিভিন্ন কোম্পানির নামে পরিচালিত যানবাহন পরিচালনার ক্ষেত্রে অনিয়ম পরিহার, চাঁদাবাজি বন্ধ ও দৈনিক চুক্তিভিত্তিক গাড়ি ভাড়া না দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি কঠোর নির্দেশনা প্রদানের কথাও বলা হয়েছে।
গতকাল রোববার রাতে শ্যামলী, এন আর ট্রাভলসের স্বত্বাধিকারী সুভংকর ঘোষ রাকেশের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি নয়া দিগন্তকে বলেন, সরকার আমাদেরকে ৮০% না করে ৬০% ভাড়া বাড়িয়ে সীমিত আকারে গাড়ি চালানোর সুযোগ দিয়েছে, এটাতে আমি সাধুবাদ জানাই। আমরা ‘জীবিকা থেকে জীবন বড়’Ñ এই তত্ত্বে বিশ্বাসী। তারপরও এই পরিস্থিতিতে গাড়ি চালানো অস্বস্তিকর।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দুই দিন আগে পরিবহন মালিক সমিতি, শ্রমিক ফেডারেশন, ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতি বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, শুধু গাড়ি শুরু এবং গন্তব্যে পৌঁছানোর পর (স্টার্টিং ও এন্ডেনিং) চাঁদা নিতে পারবে। পথে আর কোথাও কেউ গাড়ি আটকে চাঁদা নিতে পারবে না। এখন দেখা যাক নেতৃবৃন্দের এই নির্দেশনা মাঠপর্যায়ে কতটুকু কার্যকর হয়।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নতুন নিয়মে গাড়ি চালানো শুরু হলে আমরা অর্ধেক যাত্রী নিলেও ফুয়েলসহ আমাদের অন্যান্য খরচ কিন্তু একই থাকছে। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এক সিট বাদ রেখে এবার ৫০ শতাংশ যাত্রী তুলব। তাতে কোনো সমস্যা নেই। তবে যেসব ফ্যামিলি গাড়িতে উঠবে তাদের ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে স্পেসিফিক কোনো নির্দেশনা দেয়া নেই। পথে যানবাহন চেক করার সময় এক সিটের পাশে অন্য যাত্রী দেখলে তখন নানাভাবে তাদের হয়রানি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এর জন্য যদি যাত্রীদের কোনো ডকুমেন্ট ইস্যু করা হতো তাহলে ভালো হতো। সুভংকর ঘোষ রাকেশ নয়া দিগন্তকে আরো বলেন, অন্য গাড়ি কিভাবে কী করবে সেটা জানি না, তবে শ্যামলী এন আর ট্রাভেলসের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টদের আমি ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছি, পরিবারের সাথে কোনো শিশু থাকলে তার জন্য আলাদা টিকিট লাগবে না। তাকে আমরা ফ্রি নিয়ে যাবো।


আরো সংবাদ



premium cement