২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অবৈধভাবে জাহাজ চলাচল বন্ধে শিপিং ডিজির হস্তক্ষেপ কামনা করছে বিসিভোয়া

-

নীতিমালা ভেঙে অবৈধভাবে দেশের বহির্নোঙর থেকে কতিপয় পণ্যের এজেন্ট, লোকাল এজেন্ট ও কয়েকজন ফ্যাক্টরি মালিকের বিরুদ্ধে সিরিয়ালবিহীন জাহাজ চালানোর অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘ দিন ধরে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ডব্লিউটিসির কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে তারা তাদের নিজস্ব জাহাজ পরিচালনা করে আসছেন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের প্রায় দুই হাজারেরও বেশি বৈধ জাহাজ মালিক। তারা সিরিয়ালের অভাবে পণ্য পরিবহন করতে না পারায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এই অবৈধভাবে জাহাজ চলাচল বন্ধে শিপিং ডিজির হস্তক্ষেপ কামনা করছেন বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিভোয়া) নেতৃবৃন্দ।
এ ব্যাপারে গতকাল নৌ অধিদফতরের সভাকক্ষে শিপিং ডিজি আরিফুল ইসলামের সাথে বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ পূর্বনির্ধারিত এক আলোচনায় বসেন। এতে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো: ইকবাল চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম ছারোয়ারসহ সংগঠনের ১০ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন, সরকারি নীতিমালা মোতাবেক ডব্লিউটিসির মাধ্যমে সিরিয়াল মোতাবেক সারা দেশের হাজার হাজার সাধারণ জাহাজ মালিকরা পণ্য পরিবহন করলেও কতিপয় পণ্যের এজেন্ট, লোকাল এজেন্ট ও ফ্যাক্টরির মালিকরা অবৈধভাবে সিরিয়ালবিহীন জাহাজ চালাচ্ছেন। আর তাদের সহযোগিতা করছেন ডব্লিউটিসির চট্টগ্রাম বন্দর শাখার কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা। এ কারণে দেখা যায়, পণ্য পরিবহন করতে সিরিয়ালের জন্য সব সময় লাইনে অপেক্ষায় থাকে প্রায় দুই হাজার জাহাজ। এসব জাহাজ প্রতি দুই মাসেও সিরিয়ালে এনে পণ্য বহন করতে পারছে না। অন্য দিকে কতিপয় পণ্যের এজেন্ট, লোকাল এজেন্ট ও ফ্যাক্টরির মালিক অবৈধভাবে সিরিয়ালবিহীন জাহাজ চালিয়ে প্রতি ১০-১৫ দিন পরপর পণ্য পরিবহন করে অবৈধভাবে প্রতি মাসে জাহাজপ্রতি ২০ লাখ থেকে ৩০ লাখ টাকার ট্রিপ দিচ্ছে।
বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম ছারোয়ার বলেন, সাধারণ মালিকদের ৫০০ থেকে ৬০০ জাহাজ ডব্লিউটিসির সিরিয়ালের জন্য বসে থাকে, এসব জাহাজ অপেক্ষমাণ রেখে কতিপয় পণ্যের এজেন্ট, লোকাল এজেন্ট ও ফ্যাক্টরির মালিক তাদের জাহাজ মাদার ভেসেলে সিরিয়াল পাচ্ছে। শুধু জাহাজই নয়, তাদের তত্ত্বাবধানে অবৈধভাবে ৫০-৬০টি অবৈধ বাল্কহেডও চলছে। ডি.জি শিপিং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখের সামনে দিয়েই এসব অনিয়ম চলছে। কিন্তু সবাই নির্বিকার। তিনি বলেন, কর্ণফুলী নদীতে সব সময় আমাদের ৫০০ থেকে ৬০০ জাহাজের বিশাল লাইন থাকে, সিরিয়াল পাই না। মাসের পর মাস জাহাজ নিয়ে বসে আছি অথচ পণ্যের এজেন্ট, লোকাল এজেন্ট ও ফ্যাক্টরি মালিকদের জাহাজ মাসে ৪-৫ ট্রিপ দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ডিজি শিপিংয়ের কাছে তিন দফা দাবি তুলে ধরে হয়। দাবিগুলো হচ্ছেÑ ডব্লিউটিসির নীতিমালা ভেঙে নৌ চলাচলকারী জাহাজ ও জাহাজ মালিকদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বার্থ অপারেটরদেরকে বাল্কহেডে পণ্য বোঝাই না দেয়ার নির্দেশ প্রদান করার ব্যবস্থা নেয়া এবং বৈধ রেজিস্ট্রেশন ও সার্ভে সার্টিফিকেট ছাড়া চলাচলরত নৌযানগুলোকে নৌপরিবহন অধিদফতরের পরিদর্শকদের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাদের সার্ভে ও রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা; অন্যথায় তারা আন্দোলন ও ধর্মঘটে যাওয়ারও ঘোষণা দেন। শিপিং ডিজি আরিফুল ইসলাম বিষয়গুলো তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement

সকল