২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`
ঢাকায় মৃত্যুর পর গ্রামে নিতে বাধা

লাশ কাঁধে নিয়ে দাফন করলেন ইউপি চেয়ারম্যান

-

ঢাকায় মৃত্যু হওয়া গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যুতে এলাকায় মাইকিং এবং করোনা উপসর্গের কথা বলে গ্রামের প্রবেশপথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে ছুটে এলেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান। গ্রামের লোকদের বুঝিয়ে আয়োজন করা হয় দাফনের। আনুষ্ঠানিকতায় জনবল সঙ্কটে নিজেই লাশের খাটিয়া কাঁধে নিয়ে অশ্রুসিক্ত শেষ বিদায় জানালেন পরিবারের একজন হয়ে। সত্যিই পরিবারের বড় ছেলের দায়িত্ব পালন করলেন শাহরাস্তি উপজেলার টামটা উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো: ওমর ফারুক দর্জি। জানা যায়, ওই ইউনিয়নের ঢুশুয়া গ্রামের মুন্সী বাড়ির পোশাক কারখানায় কর্মরত শামছুল আলম (৫৪) ঢাকায় মৃত্যুবরণ করার পর গত রোববার সকালে গ্রামের বাড়িতে দাফনের জন্য আনা হয়। পারিবারিকভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার কথা বলা হলেও এলাকায় করোনা উপসর্গ নিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে এবং এই গ্রামে তাকে দাফন করা যাবেনা মর্মে মাইকিং করা হয়। চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়ক হতে গ্রামে রাস্তার প্রবেশ পথে দেয়া হয় প্রতিবন্ধকতা। 

খবর পেয়ে ছুটে আসেন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক দর্জি। প্রথমে এলাকাবাসীকে বুঝিয়ে পুলিশের সহায়তায় রাস্তার প্রতিবন্ধকতা তুলে নেন। তারপর অধিকতর নিশ্চয়তার জন্য মৃতদেহ পাঠিয়ে দেন শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে নমুনা সংগ্রহের পর গ্রামে এনে দাফনের আনুষ্ঠানিকতায় সামাজিক দূরত্ব মেনে সীমিত পরিসরে জানাজা শেষে কবরস্থানে লাশ নেয়ার জন্য লোকের সঙ্কট। এবার পরিবারের একজন হয়ে চেয়ারম্যান নিজে খাটিয়া কাঁধে নিয়ে নিজ হাতে দাফন করলেন। পরিবারের কেউ না হয়েও মৃতের বড় ছেলের দায়িত্ব পালন করলেন তিনি। তার আয়োজনে রাঢ়া দারুল উলুম মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা ওবায়েদুর রহমান ও শাহরাস্তি থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) ইদ্রিস মিয়া ও পুলিশ সদস্যরা মিলে সম্পন্ন করেন দাফনের কার্যক্রম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর তরুণ এ চেয়ারম্যানের দায়িত্ববোধকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন সকলে।

 


আরো সংবাদ



premium cement