২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
প্রণোদনা প্যাকেজে অন্তর্ভুক্তির দাবি

করোনায় প্রাথমিকের ১৬ হাজার শিক্ষক পরিবারে দুর্ভোগ

-

সরকারিকরণের বাইরে থাকা প্রাথমিকপর্যায়ের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ১৬ হাজার শিক্ষক পরিবার এখন আর্থিক সঙ্কটের কারণে চরম দুর্দিনে পড়েছেন। সরকারের ঘোষিত আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজে এই শিক্ষদের অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। আর্থিক সঙ্কটে পড়ে এই পরিবারগুলো কোথাও গিয়ে আর্থিক সহায়তাও চাইতে পারছেন না। আবার নিজেদের পরিবার নিয়ে সঙ্কটও কাটিয়ে উঠতে পারছেন না। 

সূত্র জানায়, করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছ। এ পরিস্থিতিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বেতন পেলেও বরাবরের মতোই আর্থিক সুবিধাবঞ্চিত সরকারিকরণের তালিকা থেকে বাদপড়া চার হাজারের বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষক। জীবিকা নির্বাহের জন্য এসব শিক্ষকরা খণ্ডকালীন কাজ, ক্ষুদ্র ব্যবসা, টিউশন, কৃষি কাজসহ বিভিন্ন কাজের সাথে জড়িত ছিলেন। চলমান পরিস্থিতিতে এসব কাজও বন্ধ রয়েছে। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে আর্থিক অনিশ্চয়তায় পড়েছেন তারা। এ পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে বিশেষ আর্থিক প্রণোদনা দেয়ার আবেদন জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি খোলা চিঠির মাধ্যমে সম্প্রতি ওই আবেদন জানানো হয়। সংগঠনটির সভাপতি মো: মামুনুর রশিদ খোকন বিষয়টি মানবিক বিবেচনায় নিয়ে তাদের আবেদন মঞ্জুর করার আকুতি জানিয়েছেন। মো: মামুনুর রশিদ খোকন জানান, আমরা দীর্ঘ দিন ধরেই আর্থিক সহযোগিতা ছাড়া শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে আসছি। জীবিকার জন্য অন্য কাজ করতে হতো। করোনার কারণে এখন তাও বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় সরকার প্রধান আমাদের প্রতি  সদয় না হলে স্ত্রী-সন্তান, বাবা-মা ভাই-বোন নিয়ে অনাহারে থাকতে হবে। তাই প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমরা বিশেষ আর্থিক প্রণোদনা প্রদানের আবেদন জানিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, আমরা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বরাবর স্মারকলিপির মাধ্যমে আবেদন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু করোনার কারণে অফিস বন্ধ থাকায় আমরা স্মারকলিপি জমা দিতে পারিনি। খোলা চিঠির মাধ্যমে আবেদন জানাচ্ছি। 

এ দিকে বাদপড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকরা জানান, ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়ে ইতিহাস রচনা করা হলেও দেশে আরো চার হাজার ১৫৯টি বিদ্যালয় সরকারিকরণ থেকে বঞ্চিত থাকে। এগুলোর মধ্যে রেজি: বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩৪টি, অস্থায়ী রেজি: বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২৮৬টি, নন রেজি: বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় তিন হাজার ৩৩২টি ও মাদার স্কুলের নামে সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয়া ৫০৭টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ওই সাময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আজ থেকে বাংলাদেশে আর কোনো বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকবে না। কিন্তু আজো আমদের স্কুলগুলো সরকারি হতে পারিনি। তাই, সরকারি কোনো বেতনভাতা বা আর্থিক সুবিধা আমরা পাই না।


আরো সংবাদ



premium cement
কালিয়াকৈরে ছিনতাইকারীর অস্ত্রের আঘাতে স্বর্ণ ব্যবসায়ী বাবা-ছেলে আহত কাপাসিয়ায় চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ২ রাশিয়ার ২৬টি ড্রোন ধ্বংসের দাবি ইউক্রেনের উত্তর কোরিয়ার সাথে আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি করতে চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র মাগুরায় বজ্রপাতে ২ যুবকের মৃত্যু মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী ‘অস্থায়ীভাবে’ ক্ষমতায় রয়েছে : জান্তা প্রধান গাজীপুরে কাভার্ডভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেলচালক নিহত উত্তরপ্রদেশে কারাগারে মুসলিম রাজনীতিবিদের মৃত্যু : ছেলের অভিযোগ বিষপ্রয়োগের দক্ষিণ আফ্রিকায় বাস খাদে, নিহত ৪৫, বাঁচল একটি শিশু ইসরাইলের রাফা অভিযান পরিকল্পনা স্থগিত এগিয়ে নিয়ে গিয়েও জেতাতে পারলেন না ত্রিস্তান

সকল