২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রোগীশূন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল

-

রোগীশূন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। অনেকটা ভূতের বাড়ির মতোই। যেখানে প্রতি মিনিটে রোগী আসতেন, রোগী এবং স্বজনদের কান্নার আওয়াজ ভেসে বেড়াত প্রতি মুহূর্তে সেখানে এখন অলস সময় কাটাচ্ছেন ডাক্তার, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। হাসপাতালের কর্মকর্তারা বলেছেন, রোগী আসছেই কম। অন্য দিকে অভিযোগ রয়েছে, অনেক রোগী ভর্তি নেয়া হচ্ছে না।
গতকাল সোমবার দুপুরে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে যে চিত্র দেখা গেছে এমন চিত্র অতীতে কোনো দিন কেউ দেখেছেন বলে মনে করতে পারলেন না। বিশেষ করে যারা ৩০ বছর ধরে হাসপাতালে চাকরি করছেন এমন কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা জানালেন, এই চিত্র তারা কোনো দিন দেখেননি। দিনে তো শ’খানেক দুর্ঘটনায় আহত রোগীই আসত! এখন দিনে আগের তুলনায় ৫ ভাগও রোগী আসছে না। অন্য দিকে অভিযোগ পাওয়া গেছে, যেসব রোগী ভর্তি রয়েছে তাদেরকে ডাক্তাররা বাধ্যতামূলকভাবে ছাড়পত্র দিয়ে ছেড়ে দিচ্ছে। এমন অভিযোগ করলেন নতুন ভবনের মেডিসিন ওয়ার্ডের ভর্তিকৃত রোগী কামরুল হাসান ও তার স্বজন কামাল হোসেন।
তিনি জানান, হাসানকে গত এক সপ্তাহ আগে পেটের ব্যথাসহ আরো অন্য সমস্যা নিয়ে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসায় থাকা অবস্থায় দুই-তিন দিন ধরে সর্দি, কার্শি ও জ্বরে আক্রান্ত হয়। সে জন্য আজকে আমাদেরকে ছাড়পত্র দিয়ে ছেড়ে দেয় ডাক্তার। আরো অনেকে একই অভিযোগ করেছেন, হাসপাতালে রোগী ভর্তি নিচ্ছে না। বিশেষ করে সর্দি-কাশি বা জ্বরের রোগী হলে তো কথাই নেই। তাদেরকে গেটের ভেতরেই নেয়া হয় না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যে কারণে রোগী সংখ্যা কমে গেছে।
হাসপাতালের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: মজিবুর রহমান জানান, গত ৩০ বছরেও হাসপাতালে এমন রোগীশূন্যতা দেখেননি। করোনাভাইরাসের কারণে এ রকম চিত্র হাসপাতালে। সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও একই কথা জানান। সাধারণত ঢামেক হাসপাতালে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসেন। হাসপাতালের আনাচেকানাচে থাকে শুধু রোগী আর রোগী। রোগীদের ভিড়ে এমনও দেখা গেছে, হাসপাতালের বেড কিংবা ফ্লোরে জায়গা না পেয়ে সিঁড়ির ঢালেও সারিবদ্ধভাবে থাকতেন রোগীরা। এখন ওয়ার্ডেই রোগী নেই।
হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা: মুজিবুর রহমান জানান, রোগীদের ভর্তি নেয়া হচ্ছে না কথাটি ঠিক নয়। করোনার কারণে চিকিৎসকরা পিপিই (ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম) পরেই রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। যে রোগী ভর্তি হওয়ার দরকার তাদের ভর্তি নিচ্ছে। তবে এমনিতেই রোগীর সংখ্যা খুব কম।

 


আরো সংবাদ



premium cement
‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ সংবিধান বিরোধী নয় ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মিজানুরের ইন্তেকাল থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সাথেপ্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্যাস বিতরণে সিস্টেম লস ২২ শতাংশ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশে নেমে এসেছে : নসরুল হামিদ গণকবরে প্রিয়জনদের খোঁজ কক্সবাজারে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, স্বজনদের হাসপাতাল ঘেরাও বঙ্গোপসাগরে ১২ নাবিকসহ কার্গো জাহাজডুবি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশকে ‘নেট সিকিউরিটি প্রোভাইডার’ হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র রাজশাহীতে তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি রাজশাহীতে টানা তাপদাহ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা শরীয়তপুরে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ জামায়াতের

সকল