২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের ত্রাণসভা হট্টগোলে পণ্ড!

-

করোনা মোকাবেলায় ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের ত্রাণবিষয়ক জরুরি বিশেষ সভা হট্টগোলের কারণে পণ্ড হয়ে গেছে। জেলা পরিষদের সদস্যরা নিম্নমানের মাস্ক ও নানা সামগ্রী কেনাসহ সদস্যদের সাথে অশোভন আচরণ করায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন নাসরিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, শনিবার বিকেল ৩টায় জেলা পরিষদের ত্রাণ সংক্রান্ত একটি জরুরি বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সদস্যদের পক্ষ থেকে পাঁচ শতাধিক পরিবারের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের জন্য অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়। এ ছাড়া সদস্য বা প্যানেল চেয়ারম্যানদের না জানিয়ে সাত সদস্যের ক্রয় কমিটি গঠন ও ইতোমধ্যে বিতরণকৃত নিম্নমানের মাস্কসহ নানা সামগ্রী ক্রয়ের সমালোচনা করায় ক্ষুব্ধ হয়ে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সচিবসহ কর্মকর্তাদের নিয়ে সভাস্থল ত্যাগ করে চলে যান। এ নিয়েই হট্টগোল শুরু হয়। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার এমন আচরণের প্রতিবাদ জানিয়ে শনিবার রাতেই জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন নাসরিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর অভিযোগ করা হয়। জেলা পরিষদের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে জেলা পরিষদ সদস্য একরাম হোসেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে লেখা অভিযোগপত্রটি সাংবাদিকদের পড়ে শোনান। এ সময় জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ মমতাজ উদ্দিন, প্যানেল চেয়ারম্যান-২ আব্দুল খালেক, প্যানেল চেয়ারম্যান-৩ ফরজানা শারমিনসহ ১৮ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
প্যানেল চেয়ারম্যান-১ মমতাজ উদ্দিন মন্তা বলেন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অসৎ আচরণ মেনে নেয়ার মতো নয়। তার ভাবখানা এমন যে জনগণের জন্য কাজ করার কোনো মানসিকতাই তার নেই। নান্দাইল থেকে নির্বাচিত সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক বাহার বলেন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রায় সময়ই সদস্যদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। তার জেদি আচরণের কারণে জেলা পরিষদের সদস্যরা খুবই বিরক্তবোধ করেন। এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিনা নাসরিনের মোবাইলে বারবার ফোন করার পরও রিসিভ করেননি। ম্যাসেজ পাঠানোর পরও তিনি কোনো জবাব দেননি। বিষয়টি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হলে ‘উদ্ভূত পরিস্থিতি বিব্রতকর’ বলে উল্লেখ করে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান বলেন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নগদ অর্থ প্রদান না করে ত্রাণসামগ্রী কিনে দিতে চান। এ নিয়েই সদস্যদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। করোনা মোকাবেলায় জেলা পরিষদ থেকে ২০-৩০ লাখ টাকার ত্রাণ বিতরণ করা সম্ভব বলেও জানান তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement