২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অলিগলিতে অস্থায়ী বাজার বসাচ্ছেন ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা

-

প্রধান সড়ক ও তার আশপাশে দাঁড়াতে না পেরে রাজধানীর অলিগলিতে বাজার বসিয়ে ব্যবসায় করছেন ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা। এতে করে গলির মধ্যের ওই সড়কগুলোতে প্রচুর জনসমাগম ঘটায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকার বাসিন্দারা। তারা বলছেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্দিষ্ট কিছু দোকান ছাড়া সব বন্ধ থাকার কথা। কিন্তু ফুটপাথে ব্যবসায় করা এসব ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী সেই নির্দেশনা অমান্য করে পাড়া-মহল্লার রাস্তা দখল করে অস্থায়ী বাজার বসিয়ে ব্যবসায় করছেন। যেখানে বাজারের মতোই জনসমাগম ঘটছে।
তবে এসব বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেটের দায়ে বাধ্য হয়ে তারা ব্যবসায় করতে বের হয়েছেন। তাদেরও রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ভয় আছে। কিন্তু তার আগেই যদি না খেয়ে মরতে না হয় সে জন্য তারা বাধ্য হয়ে এখানে এসেছেন।
গতকাল সকালে রাজধানীর মিরপুরের পশ্চিম শেওড়াপাড়ার বেশ কয়েকটি গলিতে দেখা যায় অস্থায়ী বাজার। যেখানে মাছ, শাকসব্জি থেকে শুরু করে ছোট বড়দের কাপড়, শিশুদের খেলনা এমনকি নারীদের জন্য চুড়ি ফিতা নাকফুল কানের দুলের দোকানও রয়েছে।
এসব দোকানে ভিড় করছে নানা বয়সী ক্রেতা। এদের মধ্যে কারো মাস্ক পরা থাকলেও অনেকেরই ছিল না। বিশেষ করে ব্যবসায়ীদের অনেকেই মাস্ক ছাড়াই কেনাবেচা করছেন। ওই এলাকার বাসিন্দা ফয়েজ আহমেদ বলেন, সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভয়ে প্রধান সড়কের আশপাশে বসতে না পারায় এরা পাড়া-মহল্লার অলিগলিতে ভ্যানে বা চট বিছিয়ে পসরা সাজিয়ে বসেছেন। পুলিশের গাড়ি দেখলে পালিয়ে গেলেও কিছু সময় পর আবার ফিরে আসছে। তিনি বলেন, এভাবে চলতে থাকলে লকডাউনে কোনো কাজ হবে বলে মনে হয় না। কবির আহমেদ নামে অপর এক বাসিন্দা বলেন, নিজেরা সচেতন না হলে সরকার কী করবে। তবে মনে হয় কড়াকড়ি না করলে এ দেশের মানুষ ঘরে ফিরবে না। শিশুদের খেলনা বিক্রেতা নাজমুল বলেন, করোনার ভয় বা মৃত্্ুয ভয় যে আমাদের নেই তা নয়। কিন্তু পেটের দায়ে কী করব। ঘরে খাবার নেই, পকেটে টাকা নেই। কিছু তো একটা করতে হবে। তাই বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছি।


আরো সংবাদ



premium cement